চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম আগামী ছয় মাসে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ১০০ কোটি ডোজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে দিতে পারবে।
সিনোফার্মের চেয়ারম্যান লিউ জিংঝেন জানান, মহামারি প্রতিরোধে সব দেশে টিকার সুষম বণ্টন নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় তারা এ পরিমাণ টিকা সরবরাহ করতে পারবে এ বছরের শেষ ছয় মাসে।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বুধবার এমনটি জানানো হয়েছে।
জিংঝেন আরও বলেন, ‘সিনোফার্মের বার্ষিক টিকা উৎপাদন ক্ষমতা ৫০০ কোটির বেশী।’
তবে কোভ্যাক্স কর্মসূচীর আওতায় রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি কী পরিমাণ টিকা সরবরাহ করবে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
গত ৮ মে সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ডব্লিউএইচও।
সিনোফার্মের টিকাটি এরই মধ্যে চীনের কয়েক কোটি মানুষকে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে এ টিকা। এরই মধ্যে টিকাটির প্রয়োগও শুরু হয়েছে।
সিনোফার্মের আগে ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিয়েছিল ফাইজার, মডার্না, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসনের টিকার।
চীনের টিকার অনুমোদন নিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক (ডিজি) টেডরোস আধানম গেব্রিয়েসুস শুক্রবার জানান, করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও মান যথেষ্ট থাকায় তারা চীনের এ টিকার অনুমোদন দিয়েছেন।
ডব্লিউএইচও জানায়, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ওপর এ টিকার দুই ডোজ প্রয়োগ করা যাবে। চীনের টিকাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকার সুষম বণ্টনের উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় আনারও অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর আশা, সিনোফার্মের টিকার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে করোনা প্রতিরোধী ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে আরও বড় সুযোগ তৈরি হবে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের আগেই আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দরিদ্র দেশ চীনের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
গত মঙ্গলবার চীনের উদ্ভাবিত আরেকটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে ডব্লিউএইচওর।
এমন অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে চীনা ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি করোনাভ্যাক টিকাটি দরিদ্র দেশগুলোতে পাঠাতে আর কোনো বাধা থাকল না।
বিশ্ব সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানিয়েছে টিকাটির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার মাত্রা বিবেচনা করে দেয়া হয়েছে এমন অনুমোদন। টিকাটি ১৮ বছরের বেশি যেকোনো ব্যক্তির ওপর প্রয়োগ করা যাবে।
প্যানেল তাদের সুপারিশে জানিয়েছে, শিশুদের ওপর টিকাটি প্রয়োগে বাধা থাকলেও বয়স্কদেরকে ওপর প্রয়োগে কোনো বিধিনিষেধ নেই।