রাজ্যের সাবেক মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মাঝে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, এটি এখন ‘ক্লোজড’ বিষয়।
নবান্নের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলাপন ইস্যুতে মমতা বলেন, ‘অবসর নিয়ে ফেলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার পূর্ণ সহযোগিতা করবে তাকে। আলাপনকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যাপ্টার ইজ ক্লোজড।’
এর আগে আলাপন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে দীঘা যাওয়ার অনুমতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন। কিন্তু বলা হচ্ছে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস পরবর্তী রিভিউ মিটিংয়ে না থেকে আলাপন বিপর্যয় মোকাবিলার আইন লঙ্ঘন করেছেন।’
ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপনকে বদলি করে দিল্লিতে ডিওপিডি দপ্তরে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। আলাপন দিল্লি যাননি। কেন্দ্রের তিন মাসের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি, তাও তিনি গ্রহণ করেননি। তিনি তার পূর্ব নির্ধারিত অবসর গ্রহণের দিন অবসর গ্রহণ করেছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এরপর কেন্দ্রের তরফে আলাপনকে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়। এই নোটিশের উত্তর বৃহস্পতিবারের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, মমতার মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন শোকজ নোটিশের জবাবে জানাবেন, যে তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই দীঘা গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানতে তিনি বাধ্য ছিলেন। তাছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী ও তার জন্য দীঘায় সরকারি কর্মকর্তারা অপেক্ষা করছিলেন ।
কেন্দ্র এই উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে পারে। অভিযোগ প্রমাণ হলে, আলাপনের জেল-জরিমনা দুটোই হতে পারে।
বুধবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনা পাথর প্রতীমায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল যুব নেতা অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই একই আইন প্রয়োগ করা হোক। দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, যখন সবাইকে বাড়িতে থাকার কথা বলা হচ্ছে, তখন এরা রাজ্যে এসে সভা করছেন, আর বলছেন, এত বড় সভা কোনদিন দেখেননি। এদের বিরুদ্ধে ও দুর্যোগ মোকাবিলার আইন প্রয়োগ হওয়া উচিত।’