ভারতের কেন্দ্রীয় সচিবালয় থেকে করা শোকজের জবাব প্রথমে দিতে না চাইলেও চিঠির জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নের একটি সূত্র বলছে, অবসর নেয়ার চার বছরের মধ্যে সরকারি চিঠির জবাব দিতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে কর্মকর্তাদের। এ জন্যই আলাপন শোকজের জবাব দেবেন।
বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তিনি শোকজ চিঠির জবাব পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানা গেছে।
২৮ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা বৈঠক এড়িয়ে বিধি ভাঙার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩১ মে রাতে শোকজ করে কেন্দ্রীয় সচিবালয়।
দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে করা শোকজে কেন আলাপনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব তিন দিনের মধ্যে দিতে বলা হয় চিঠিতে।
কিন্তু চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৩১ মে অবসর নেয়ায় প্রথমে শোকজের জবাব দিতে না চাইলেও পরে মত পাল্টেছেন আলাপন।
জবাবি চিঠিতে আলাপন জানাতে পারেন, দীঘায় তার পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই কলাইকুন্ডা ছেড়েছিলেন তিনি।
দীঘায় তার আর মুখ্যমন্ত্রীর জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও অপেক্ষায় ছিলেন। তাছাড়া রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানতে তিনি বাধ্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় সে রাতেই আলাপনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বদলি করে দিল্লিতে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলাপনের চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও তাকে ৩১ মে থেকে আরও তিন মাসের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু নতুন করে কাজে যোগ না দিয়ে তিনি ইস্তফা দেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা আলাপনকে তার মুখ্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেন।
মমতা আলাপনের বদলিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আদেশ বলে উল্লেখ করেন। ঘটনাটি শুধু পশ্চিমবঙ্গের না থেকে পুরো ভারতেও সমালোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধীরা, দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও এর প্রতিক্রিয়া জানায়।