ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৮ মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্দেশ দেয়া হয় আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু শরণার্থী, অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ শুরু করার।
প্রধানত গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যে বসবাসকারী শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
এরপরই দেশটিতে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ।
কেন মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে, কেন মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মুসলিম লিগের ওই আবেদনে।
এই নাগরিকত্ব প্রদান হবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ভিত্তিতে।
সরকার গুজরাটের মোরবি, রাজকোট, পাটনা, ভদোদরা, ছত্তিশগড়ের দুর্গ, বলোদাবাজার, রাজস্থানের জলোর, উদয়পুর, পলি, বাড়মের, সিরোহি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ, পাঞ্জাবের জলন্ধরের জেলাশাসককে ৫ নং ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে।
তবে কেন্দ্র এখনও ২০১৯ সালের নিয়ম বলবৎ করতে পারেনি। যেখানে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যেসব হিন্দু, জৈন, শিখ, পারসি ও খ্রিষ্টানরা ভারতে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র।
সংসদে এই আইন পাস হওয়ার পর একাধিক রাজ্য এর বিরোধিতা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গেরও রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এই আইন বাংলায় কার্যকর হবে না।