বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাইজেরিয়ায় ইসলামি স্কুল থেকে ২০০ শিশুকে অপহরণ

  •    
  • ৩১ মে, ২০২১ ১১:৪৫

মুক্তিপণ আদায়ে অপহরণের ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে নাইজেরিয়ায়। রোববারের ঘটনা বাদ দিলে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৭৩০ জন শিশু ও শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হয়েছে।

স্কুল থেকে আবারও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায়।

দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় নাইজার প্রদেশের একটি ইসলামি স্কুল থেকে রোববার প্রায় ২০০ শিশুকে তুলে নিয়ে যায় বন্দুকধারীরা।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঠিক কতজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় প্রাদেশিক প্রশাসন।

নাইজার পুলিশের মুখপাত্র ওয়াসিউ আবিওদুন জানান, মোটরবাইকে চড়ে বন্দুকধারীরা তেজিনা শহরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে শহরের এক বাসিন্দা নিহত ও আরেকজন আহত হন।

এরপর সালিহু তাঙ্কো স্কুল থেকে শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।

স্কুলটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্রথমে শতাধিক শিশুকে অপহরণ করলেও পরে বেশি ছোট বলে ৪ থেকে ১২ বছর বয়সী কিছু শিশুকে ফেরত দিয়ে গেছে বন্দুকধারীরা।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রাদেশিক সরকার জানায়, ‘খুব ছোট আর এখনও ঠিকমতো হাঁটা শেখেনি’ এমন ১১ শিশু মুক্তি পেয়েছে।

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে সক্রিয় আছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। প্রায়ই অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন গ্রামে লুটপাট, গরু চুরি ও মানুষ অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।

মুক্তিপণ আদায়ে এ ধরনের ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে।

রোববারের ঘটনা বাদ দিয়েই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৭৩০ জন শিশু ও শিক্ষার্থী নাইজেরিয়ায় অপহরণের শিকার হয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গ্রিনফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ডাকাতরা। হামলার সময় এক কর্মী নিহত হয়।

কয়েক দিন পর পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যা করে ডাকাতরা। মুক্তিপণের জন্য প্রশাসন ও অপহৃতদের পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।

বাকি ১৪ শিক্ষার্থীকে সাড়ে চার লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে ৪০ দিন পর গত শনিবার মুক্তি দেয়া হয়েছে।

জামফারা, কাৎসিনা, কাদুনা ও নাইজার প্রদেশ লাগোয়া রুগু বনে ঘাঁটি গেড়ে রেখেছে বিভিন্ন ডাকাত দল ও অপরাধীচক্র। কোনো আদর্শগত অবস্থান থেকে নয়, কেবল অর্থের জন্য এসব চক্র তৎপর।

অঞ্চলটিতে অস্থিরতার সুযোগে আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে রয়েছে আশঙ্কা।

এ বিভাগের আরো খবর