বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিয়েতনামে করোনার নতুন ধরন

  •    
  • ২৯ মে, ২০২১ ২১:৪৩

ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এনগুয়েন থান লং শনিবার জানিয়েছেন, নতুন এই ধরনটি আরও বেশি ভয়ংকর এবং তা বাতাসের মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমিত হয়ে থাকে।

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ও যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণে সৃষ্ট নতুন ধরন শনাক্ত করেছে ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ।

ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এনগুয়েন থান লং শনিবার জানিয়েছেন, নতুন এই ধরনটি বাতাসের মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমিত হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই ধরনটি আরও বেশি ভয়ংকর।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনটির জিনোম শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। করোনাভাইরাসের আগে শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে এটি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত করা গেছে। সেগুলো প্রথম শনাক্ত হয়েছে ভারত, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে।

ভিয়েতনাম গেল বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সফলভাবে দমন করতে পারলেও চলতি বছরের এপ্রিল থেকে দেশটিতে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত প্রায় সাত হাজারের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত দুই মাসে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলো বেশি সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। এতে ক্রমাগত মিউটেশন ঘটে। এর ফলে আরও পরিবর্তিত ধরন সৃষ্টি হচ্ছে যা টিকার কার্যকারিতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারিতে ১.১.৭ নামের যুক্তরাজ্যের ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল দক্ষিণপূর্ব ইল্যান্ডের ব্রিস্টলে। একে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে অভিহিত করেন ভাইরাস নিয়ে কাজ করা ইমারজিং রেসপাইরেটরি ভাইরাস থ্রেট অ্যাডভাইজরি গ্রুপ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধরনটিতে ২১ বার মিউটেশন ঘটার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে ঘটা একই রকম মিউটেশন দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পাওয়া ধরন দুটিতেও।

বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার ধরনটির নাম দিয়েছেন বি.১.৩৫১। আর ব্রাজিলে পাওয়া ধরনটির নাম দিয়েছেন পি.১। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে পাওয়া ধরনটিই সবচেয়ে বেশি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানের একটি সামুদ্রিক মাছের বাজারে। সেখানে এক সঙ্গে অনেক রোগী পাওয়া যায়, যাদের শরীরে ‘অজ্ঞাত উৎসের নিউমোনিয়া’ শনাক্ত করা হয়।

এরপর উহান থেকে চীনের অন্যত্র এবং পর্যটকদের মাধ্যমে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। তবে এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে রোগটির আদি উৎস রহস্যাবৃত থেকে গেছে।

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট কোভিড-১৯-এ এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ কোটির বেশি মানুষ। আর মারা গেছে ৩৫ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। সুস্থ হয়েছে ১৫ কোটি ২১ লাখের বেশি মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর