ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বিজেপির নেতার টুইটারে অভিযোগ করতে থাকেন, মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ২০ মিনিট বসিয়ে রেখেছেন।
এই অভিযোগের জবাব দিতেই শনিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরেই বিষয়টা থেমে যাবে। কিন্তু সেটা থামল না। আপনারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কাজ করলেন।’
মমতা জানান, তাঁর কর্মসূচি ঘোষণার পরেই প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছিল। যে কারণে তাঁকেও সফর কাটছাঁট করতে হয়। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয় বলে জানান মমতা।
“প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার নামবে বলে আমাদের কপ্টার ২০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাত্র ১ মিনিটের জন্য দেখা করতে চাওয়ায় তার এসপিজি জবাব দেয়, ‘এক ঘণ্টা পর বলুন। এখন কিছু হবে না।’ আমাদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল ওখানে।’’
মমতার আরও অভিযোগ, ‘আগে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে রাজ্যপাল, মন্ত্রীরাও আছেন। বিজেপি-র সকলে আছে। আমি একা!’
মমতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই কলাইকুন্ডা থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। মোদীর সঙ্গে দেখা ক্ষয়ক্ষতির নথি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে মোদীর অনুমতি নিয়েই দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য বেরিয়ে যান তিনি।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে মোদি সরকারের কাছে প্রাথমিকভাবে ওই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানান তিনি।
তবে ওই আর্জির পাশাপাশিই মমতা বলেছেন, ‘আমাকে, মুখ্যসচিবকে এবং রাজ্য সরকারকে অপমান করা হয়েছে। এটা হচ্ছে স্রেফ রাজনীতি করার জন্য। আপনারা ভোটে হেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন।’
মমতার বক্তব্য, ‘প্রাইম মিনিস্টার স্যার, আপনার দুটো পা ধরলে যদি আপনি খুশি হন, আমি বাংলার জন্য তা-ও করতে পারি।’ তার পরেই মমতা আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘এই চিঠি আপনারা ফিরিয়ে নিন।’
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে আগামী ৩১ মে সকার ১০টার মধ্যে আলাপনকে নয়াদিল্লির সচিবালয়ে গিয়ে দেখা করতে হবে।