ভারতে ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাস হওয়ার পর উত্তাল হয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল। এই আইন নিয়ে আন্দোলনের আগুন জ্বলেছে সারা দেশে। এরপর অসমে নাগরিকত্বের তালিকায় বহু হিন্দুর নাম বাতিল হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল সিএএর কার্যকারিতা নিয়ে। এরপর থেকেই স্থগিত রয়েছে এই প্রক্রিয়া।
তবে শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ শুরু হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই মর্মে একাধিক জেলা শাসককে অবগত করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র গুজরাটের মোরবি, রাজকোট, পটনা, ভদোদরা, ছত্তিশগড়ের দুর্গ, বলোদাবাজার, রাজস্থানের জলোর, উদয়পুর, পলি, বার্মার, সিরোহি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ, পাঞ্জাবের জলন্ধরের জেলা শাসককে ৫ নম্বর ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে।
২০০৯ সালের নাগরিকত্ব আইনের নিয়ম অনুযায়ী, পাঞ্জাব, হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রসচিবকেও এই মর্মে অবগত করেছে কেন্দ্র। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নাগরিকত্বের আবেদন শুধু অনলাইনে করা যাবে। আবেদনপত্র যাচাই করবেন জেলা শাসক অথবা সচিব। এরপর তা কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে।
কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন হলে সেই কাজ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। জেলা শাসক বা সচিব তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নাগরিকত্ব দেবেন।
উল্লেখ্য, এই নাগরিকত্ব দেয়া হবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ভিত্তিতে। কেন্দ্র এখনও ২০১৯ সালের নিয়ম বলবৎ করতে পারেনি। যেখানে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত যেসব হিন্দু, জৈন, শিখ, পারসি ও খ্রিষ্টানরা ভারতে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র।
সংসদে এই আইন পাস হওয়ার পর একাধিক রাজ্য এর বিরোধিতা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গেরও রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এই আইন সেখানে কার্যকরী হবে না।