‘ইয়াস দুর্গত হিঙ্গলগঞ্জ, সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমাসহ বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করে আমরা কলাইকুন্ডা গিয়েছিলাম। কারণ, প্রাইম মিনিস্টার একটা রিভিউ মিটিং ডেকেছিলেন। কিন্তু আমরা তো জানতাম না। আমাদের দীঘায় প্রোগ্রাম ছিল। তবু আমরা সেখান থেকে আবার কলাইকুন্ডা গিয়েছিলাম।’
আমার (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে চিফ সেক্রেটারি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। আমাদের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার একটা রিপোর্ট, আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে বলেছি, ‘এইটা হচ্ছে আমাদের রিপোর্ট। আপনি যা ভালো বুঝবেন তাই করবেন।
‘অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি যা আছে সে তো আছে। তার মধ্যে আমরা দুটো স্কিম দিয়েছি। একটা দীঘা ডেভেলপমেন্টের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা এবং আর একটা সুন্দরবন ডেভেলপমেন্টের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা। হয়তো কিছু পাব না।’
দীঘায় এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় উল্লেখ করে এ কথা জানান।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এটাই বলে এসেছি যে, আপনি আমার সঙ্গে মিট করতে চেয়েছেন, তাই অত দূর থেকে আমি এসেছি। আপনাকে মিট করে, আমার সঙ্গে চিফ সেক্রেটারি মিলে কাগজটা দিয়ে গেলাম। আমাকে দীঘায় যেতে হবে। দীঘায় যাওয়ার আমার কথা রয়েছে। তাই আপনার পারমিশন নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি।’
পাশাপাশি তিনি মোদিকে আম্ফানের ক্ষতিপূরণের টাকা যে রাজ্য পায়নি সে কথা জানান। ইয়াসের পরে ওড়িশা ৬০০ কোটি টাকা, অন্ধ্র প্রদেশ ৬০০ কোটি টাকা পেলেও পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুযোগ জানান।
মাত্র দেড় মিনিট দুজনের সাক্ষাৎ স্থায়ী হয় বলে জানা যায় সূত্রের খবরে।
জানা গেছে, রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির কথা প্রধানমন্ত্রী মন দিয়ে শুনেছেন এবং রিভিউ মিটিংয়ের পর দিল্লি গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ত্রাণের বিষয় যা করার করবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ে শুভেন্দু অধিকারী আমন্ত্রিত থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিভিউ মিটিংয়ে থাকবেন না বলে আগেই জানা গেছে। এ নিয়ে বিজেপির তরফে শুভেন্দু অধিকারী যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা সেই চিঠি প্রকাশ্যে আনে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।’