নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে ‘দেশপ্রেম’ আইন পাস করেছে হংকংয়ের আইনসভা লেজিসলেটিভ কাউন্সিল অফ হংকং (লেগকো)।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন আইনটির আওতায় ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে বিবেচিত নন, এমন নাগরিকরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দেশটির গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা বলছেন, চীন বিরোধীদের ঠেকাতেই এমন আইন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আইনটি পাস হওয়ার সময় লেগকোতে উপস্থিত বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাই ছিলেন চীনপন্থী। এর আগে গত বছর গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতাদের বেশিরভাগই লেগকো থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যান।
নতুন আইনে কারা আইনসভার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন সেটিও ঠিক করে দেবে নির্বাচন কমিটি। এতে সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যাও ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ জন করা হয়েছে।
এছাড়া মোট ৯০টি আসনের মধ্যে ৪০টিতেই প্রতিনিধি ঠিক করে দেবে নির্বাচন কমিটি। এর মধ্যে ৩০টি আসন পাবেন চীনপন্থী ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা।
দেশটির বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লো কিন হেই বলেন, ‘এই আইনের কারণে অন্তত ২০ বছর পিছিয়ে গেল হংকং।’
আইনটির বিষয়ে সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক লি জনগিউক বলেন, ‘এটি পাস হওয়ায় সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই আইনটির কারণে লোকজন নিজেদের সেলফ-সেন্সর করা শুরু করবে।’
সাবেক ব্রিটিশ কলোনি হংকং ‘এক দেশ,দুই নীতি’ পদ্ধতিতে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত চীনের আওতায় থাকার কথা। এতে সেখানকার বাসিন্দারা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের চেয়ে কিছুটা বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেন। তবে হংকংয়ের শাসনব্যবস্থায় চীনের হস্তক্ষেপের কারণে এই স্বাধীনতা ক্রমশ কমে আসছে।