বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজায় ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে: জাতিসংঘ

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৬:৫৪

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল বাশলে বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, নিজের নাগরিকদের রক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। সেই একই অধিকার ফিলিস্তিনিরও আছে।’

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার (ওএইচসিএইচআর) প্রধান। সামরিক উদ্দেশ্যে গাজার ভবনগুলোতে আঘাত হানার ইসরায়েলের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার মিশেল বাশলে এসব মন্তব্য করেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বাশলে বলেন, ‘গাজার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে টানা ১১ দিন ধরে ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে অনেক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। পাশাপাশি অনেক স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। বেসামরিক নাগরিক ও স্থাপনার ওপর এমন আঘাত যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

গত শুক্রবার রাতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১০ মে থেকে শুরু হওয়া ১১ দিনের সংঘাতে ২৫৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ৬৬টি শিশু রয়েছে। হামলার ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় দুই হাজার বেসামরিক নাগরিক।

অন্যদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া রকেট হামলায় দুই শিশুসহ ১২ ইসরায়েলি প্রাণ হারায়। আহত হয় ৩৫৭ জন।

ইসরায়েলের উদ্দেশে রকেট ও মর্টার ছোড়া থেকে বিরত থাকতে ফিলিস্তিনের হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থাটির প্রধান বাশলে।

তিনি বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, নিজের নাগরিকদের রক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। সেই একই অধিকার ফিলিস্তিনিরও আছে।’

বাশলে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন ও তাদের স্থাপনায় হামলার কথা বলা হলেও অনেক বেসামরিক নাগরিকের ঘরবাড়ির পাশাপাশি অন্যান্য স্থাপনাও ইসরায়েলের বিমান হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি ভবন, আবাসিক ঘরবাড়ি, মানবিক সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, চিকিৎসা কেন্দ্র ও সংবাদমাধ্যম লক্ষ্য করে ওই ১১ দিন ইসরায়েল হামলা চালায়।

‘ইসরায়েলের দাবি, ওইসব ভবনের অনেকগুলোতে সশস্ত্র সংগঠনের ডেরা ছিল। তবে ইসরায়েলের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’

এ বিভাগের আরো খবর