ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস বি.১.৬১৭ প্রতিরোধে কার্যকর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা।
টিকা প্রয়োগে কোনো নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ক্ষতিপূরণ দেয়ারও আশ্বাস দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে এখন পর্যন্ত অনুমোদিত তিন টিকা- কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও স্পুৎনিক ভি- কোনোটির ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণের সুযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব দেশে করোনার বিস্তার রোধে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ চলছে, সেসব দেশকে নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এ বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
জানিয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কার বিপর্যয়ের জন্য বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট দায়ী বলে প্রতিষ্ঠানটির গবেষকদের ধারণার কথা।
রূপ পরিবর্তনকারী নতুন করোনা ঠেকাতে তাদের বিদ্যমান টিকাটি ভারতের উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার মধ্যে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব।
আসছে জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ভারতে পাঁচ কোটি ডোজ করোনা প্রতিরোধী টিকা বণ্টনে দেশটির সরকারের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা করছে ফাইজার। কয়েকটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন খোদ ফাইজার চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বুর্লা।
১২ বছর বয়সী সবার জন্য টিকাটির কার্যকারিতা প্রমাণিত বলেও দাবি ফাইজারের।
ভারতে অনুমোদিত তিনটি টিকার কোনোটিই ১৮ বছরের কম বয়সীদের দেহে প্রয়োগের অনুমতি দেয়নি সরকার।
তবে চলতি মাসেই দুই বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের গবেষণালব্ধ টিকা কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর কথা রয়েছে।
ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির চলমান দ্বিতীয় ধাক্কার শিকার প্রায় ১০ শতাংশ রোগীই ১৮ বছরের কম বয়সী। দিন দিন এ হার বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন তৃতীয় ধাক্কায় শিশু-কিশোরদের বড় অংশ করোনায় আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতের অনেক স্বাস্থ্যবিদ।
১৩৩ কোটির দেশ ভারতে এ পর্যন্ত করোনার এক অথবা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ২০ কোটির কিছু বেশি মানুষ।
টিকার ঘাটতি মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও মডার্নাসহ বিদেশি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল ভারত সরকার।