ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগে টর্নেডোর আঘাতে পশ্চিমবঙ্গে প্রাণ হারিয়েছে দুইজন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলি জেলায় টর্নেডোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেড় মিনিট স্থায়ী এই টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অন্তত ৪০টি ঘরবাড়ী।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার দুপুরে ভারতের ওড়িশাতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা।
আলীগড় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে আঘাত হানবে ইয়াস৷ মঙ্গলবার রাতে এটি বালেশ্বর থেকে ২৮০ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুর জেলা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ছিল।
প্রথমে ইয়াস পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে বলে মনে করা হলেও পরে তা সরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সীমানা থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ও পরিস্থিতি নজরদারি করতে মঙ্গলবার রাতেই নবান্নে পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল থেকে তিনি থাকবেন উপান্নের কন্ট্রোল রুমে।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৭৪ হাজার আধিকারিক ও কর্মী দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছেন। প্রায় দুই লাখ পুলিশকর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ও কাল টানা নজরদারি চলবে। সুরক্ষিত জায়গায় থাকুন। প্রয়োজন হলে সেনা নামানো হবে। সব এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে সবাইকে তৈরি রেখেছি।’