নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় হঠাৎ করে আগামী তিনদিনের মধ্যে আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলাকালে নিরাপত্তার বিষয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার দূতাবাস বন্ধের কথা জানান বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সামরিক জোট ন্যাটোর কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার সেনারা অবস্থান করছে। গত মাসে ৮০ সেনা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিলেন মরিসন। এক মাস না যেতেই দেশটিতে দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিলেন তিনি।
স্কট মরিসন বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জতিক সেনা প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ মে’র মধ্যে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।’
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ভয়াবহ বিমান হামলা হয়। ওই ঘটনার পরই আফগানিস্তানের তালেবান শাসন উৎখাতে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।
২০ বছর পর চলতি বছরের শুরুতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রবাহিনী।
এদিকে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের জায়গা থেকে দূতাবাস বন্ধে অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তের পরপরই বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য ‘নিরাপদ পরিবেশ’ দেয়ার অঙ্গীকার করেছে তালেবান।
তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাঈম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সব বিদেশি কূটনীতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তান এই বলে আশ্বস্ত করতে চায় যে, আমরা তাদের কোনো ধরনের হুমকির কারণ হবো না।
‘তারা যাতে নির্বিঘ্নে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য আমরা নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করব।’