বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ১৪:১৪

সীমান্ত বন্ধের আগে সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মঙ্গলবার গাজা সীমান্তের ভেতর শুধু ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। জাতিসংঘের অভিযোগ, ত্রাণ বলতে কোন ধরনের পণ্য বোঝানো হচ্ছে তা স্পষ্ট করেনি ইসরায়েল।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ ও সংঘাতকবলিত মানুষের সহায়তায় পাঠানো ত্রাণবাহী ট্রাকের বেশ কয়েকটিকে সীমান্তে আটকে দিচ্ছে ইসরায়েল।

জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, অস্ত্রবিরতি কার্যকর সত্ত্বেও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে গাজা সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল।

১১ দিনের ধ্বংসযজ্ঞের পর অবরুদ্ধ উপত্যকা অঞ্চলটিতে খাদ্য ও ওষুধের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে বাধা দেয়ায় মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠছে অঞ্চলটিতে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ আটকে দেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করছে না ইসরায়েলি প্রশাসন।

সীমান্ত বন্ধের আগে সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মঙ্গলবার গাজা সীমান্তের ভেতরে শুধু ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।

জাতিসংঘের অভিযোগ, ত্রাণ বলতে কোন ধরনের পণ্য বোঝানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট করছে না ইসরায়েল।

সীমান্তের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট হয়ে গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় আছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার পাঠানো ত্রাণবাহী কয়েক শ ট্রাক।

এ অবস্থায় যুদ্ধে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার জন্য রাফাহ সীমান্ত পারাপারের সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েছে মিসর।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন অস্থিরতা নিরসনে মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যে সফর শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরের রামাল্লায় জাতিসংঘ সমর্থিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

সম্প্রতি ইসরায়েলের বিভিন্ন দখলদার প্রতিষ্ঠানের করা মামলায় শেখ জারাহ এলাকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ শুরু হয়। এর জেরে চলতি মাসের শুরুতে সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা।

উত্তেজনা গড়ায় পবিত্র আল-আকসা মসজিদ পর্যন্ত। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে সেখানে দফায় দফায় অভিযান চালায় ইসরায়েলের সেনারা। সংঘর্ষে আহত হন কয়েক শ মুসল্লি।

এমন পরিস্থিতিতে উপত্যকায় ক্ষমতাসীন, স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস আল-আকসা থেকে সরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি হিসেবে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়ে।

এর ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের পর গত প্রায় দুই সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি রক্তক্ষয়ী আক্রমণের শিকার হয় অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কাছে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচিত হামাসের বিরুদ্ধে গাজা ও পশ্চিম তীরে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

১০ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ইসরায়েলের বাহিনীর এসব বিমান হামলায় প্রাণ গেছে ৬৫ শিশুসহ ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০০ জন নারী রয়েছেন। আহত দুই হাজারের বেশি। ভিটেমাটি হারিয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।

সহিংসতার ইতি টানতে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলেও আল-আকসায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের গুলিতে সোমবারও আহত হয়েছে ফিলিস্তিনের এক কিশোর।

এ বিভাগের আরো খবর