যুক্তরাজ্য থেকে জার্মানিতে আসা যাত্রীদের কঠোর নীতিমালার আওতায় আনার কথা জানিয়েছে বার্লিন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জার্মানিতে আসা যেকোনো ব্রিটিশ যাত্রীকে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতেই হবে। যাত্রীদের কাছে কোভিড-১৯-এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
রোববার থেকে কার্যকর হবে কোয়ারেন্টিনের এই বাধ্যবাধকতা। এ সময় কেবল জার্মানির নাগরিকরা দেশে ফেরার বিষয়ে অগ্রাধিকার পাবেন।
শনিবার বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।
জার্মানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনের বিস্তার ঠেকাতে এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দেশটির রোগের জীবাণুতত্ত্ব ও গবেষণাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের দেয়া তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিস্তার ঘটাতে উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে যুক্তরাজ্য।
গত শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি যুক্তরাজ্যের ধরনের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ ও শক্তিশালী। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’
শুক্রবার গ্রুপ-টোয়েন্টির আয়োজনে ওয়ার্ল্ড হেলথ সামিটে এ কথা বলেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
জার্মানিতে বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণের মাত্রা এক শর নিচে নেমে এলেও সাম্প্রতিক সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এর আগে যুক্তরাজ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা থেকে বাদ দিলেও এখন জার্মান চ্যান্সেলর আবারও প্রতিবেশী দেশটিকে এ তালিকাভুক্ত করেছেন।
এমন কঠোর নীতিমালার ফলে ১১ জুন যুক্তরাজ্যের কর্নওয়েল শহরে জি-সেভেন সামিটে মেরকেলসহ জার্মান প্রতিনিধিদের অংশ নেয়ার বিষয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে জার্মান সাংবাদিকদের যুক্তরাজ্যে সফর এড়িয়ে যেতে সুপারিশ করা হয়েছে।