গাজা উপত্যকায় শাসক দল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলআজিজ আল সৌদ।
ফোনালাপে শুক্রবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানান বাদশাহ সালমান।
সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোনালাপে জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সেনা অভিযান ও নিরস্ত্র মানুষ হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানান বাদশাহ।
তিনি বলেন, জেরুজালেমে হামলাসহ সব ধরনের আক্রমণাত্মক তৎপরতা বন্ধে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করবে রিয়াদ। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানেও কাজ করবে তার সরকার।
এ সময় ফিলিস্তিনের প্রতি দীর্ঘ সমর্থন অব্যাহত রাখায় সৌদি বাদশাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধানে মুসলমান ও আরব রাষ্ট্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান আব্বাস।
গাজায় অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে উপসাগরীয় জোট জিসিসিভুক্ত দেশ কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সৌদি আরব।
১১ দিনের সহিংসতার পর মিসরসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে গাজায় অস্ত্রবিরতি কার্যকরে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।
১০ মে থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ গেছে ৬৫ শিশুসহ ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।
অস্ত্রবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার যুদ্ধকবলিত মানুষের জন্য ত্রাণ পৌঁছানো শুরু হয় গাজায়।