বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামিন নয়, নারদাকাণ্ডে গৃহবন্দি চার নেতা

  • অসিত পুরকায়স্থ, কলকাতা   
  • ২১ মে, ২০২১ ১৯:৩৪

বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। তবে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জামিনের বিরোধিতা করেন।

নারদা স্টিং অপারেশন কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের নেতা ও পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাবেক মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে জটিলতা না কাটলেও এবার বাড়ি ফিরতে পারবেন তারা। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে গৃহবন্দি থাকতে হবে তাদের।

কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এ রায় দেয়।

গ্রেপ্তার হওয়া চার ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অবশ্য সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দুজনই এ রায়ের বিরোধিতা করেন ।

বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। তবে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জামিনের বিরোধিতা করেন।

দুই বিচারপতির মতভেদের কারণে চার আসামির জামিনের বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে বা তৃতীয় কোনো বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন রায় না হওয়া পর্যন্ত নেতারা গৃহবন্দি থাকবেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি নারদাকাণ্ডে গ্রেপ্তার চার নেতার পক্ষে বলেন, ‘গৃহবন্দি নয়, অন্তর্বর্তী জামিন দেয়া হোক। পুরসভার দায়িত্বে আছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি পুরসভায় যেতে না পারলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করবেন কী করে? সই সাবুদ করবেন কী করে? যদি বৃহত্তর বেঞ্চ অন্তর্বর্তী জামিনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটা দ্রুত করা হোক।’

এ ব্যাপারে অবশ্য হাইকোর্ট কিছু জানায়নি।

আসামিদের পক্ষে অপর আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে কোনো কাজই করতে পারছেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো মন্ত্রীরা।’

এরপর গ্রেপ্তারকৃতরা গৃহবন্দি অবস্থায় ভার্চুয়ালি সব ধরনের কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়ে দেয় আদালত। এমনকি তাদের কাছে ফাইল নিয়েও যাওয়া যাবে।

এদিকে চার নেতার বাড়ি ফেরার অনুমতি মিললেও সবাই বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তিনজনের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। এস এস কে এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাকে নেবুলাইজার নিতে হয়েছে বহুবার। সে কারণে তার গলায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার গলায় আগেও সমস্যা ছিল। গলার স্বর খুবই ক্ষীণ হয়ে গেছে। তাকে চিকিৎসকরা স্পিচ থেরাপি করতে বলেছেন।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের লিভারের সমস্যা রয়েছে। মদন মিত্রের কো-মরবিডিটি রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন তারা।

ফিরহাদ হাকিম প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। আদালতের রায়ের কপি জেলে পৌঁছালে বাড়ি ফিরবেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর