চীনের সহযোগিতায় নির্মিত করাচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২ (কে-২) উদ্বোধন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে শুক্রবার তিনি ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইমরান বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সহযোগিতায় নির্মিত করাচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (কে-২) থেকে ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এ কেন্দ্র আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিতে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে পাকিস্তান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দ্রুতগতিতে হিমবাহ গলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করা না গেলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তীব্র পানি সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে।’
নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে আক্ষেপ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব জ্বালানি আমাদের দরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের চেষ্টা করেনি পাকিস্তান।
‘পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেত। আমাদের সে সম্ভাবনা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত সেদিকে আমরা নজর দিইনি।’
কে-২ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ইমরান বলেন, ‘এ প্রকল্পের মাধ্যমে জনবল প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চীনের প্রযুক্তি ব্যবহার সহজ হবে। প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় ৪০ হাজার বিশেষজ্ঞ দেশে এসেছেন। চীনের সঙ্গে সহযোগিতায় আরেক ধাপ এগোল পাকিস্তান।’
চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার চীনের সঙ্গে ৭০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। আমাদের সম্পর্ক বেশ অনন্য।
‘আমরা মনে করি, সংকটের সময় চীন আমাদের পাশে দাঁড়াবে। আমরা সৌভাগ্যবান, চীনের মতো উদীয়মান শক্তি ও উন্নত দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।’
ইমরান আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আজ যেসব সমস্যার মুখোমুখি, চীনও প্রায় একই ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও দুর্নীতি মোকাবিলাসহ আরও অনেক বিষয় চীনের কাছ থেকে শেখার আছে পাকিস্তানের।’
২০১৩ সালের নভেম্বরে কে-২ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়। কেন্দ্রটির স্থায়িত্বকাল ৬০ বছর, যা আরও ২০ বছর বাড়ানো সম্ভব।