বায়ুর মাধ্যমে ১০ মিটার পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে কোভিড-১৯। এমনটাই মনে করেন ভারত সরকারের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন।
কীভাবে বায়ুর মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়- সেই বিষয়ে একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি করা হয়েছে মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে।
তাতে বলা হয়েছে, উপসর্গহীন হয়েও সংক্রমণ ছড়ানো যায়। একমাত্র বায়ু চলাচলের প্রকৃত ব্যবস্থা (ভেন্টিলেশন) এই মাধ্যমে সংক্রমণ রোধ করতে পারে। বাতাসে ভেসে বেড়ায় কোভিড-১৯ ভাইরাস। অ্যারোসলের মাধ্যমে ১০ মিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে মারণ ভাইরাস। তাই এই বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। দরজা-জানালা বন্ধ থাকা কোনো ঘরে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়েও সবাইকে অবগত করেছে বিজয়রাঘবনের দপ্তর।
কে বিজয়রাঘবনের দপ্তর থেকে প্রকাশ করা নির্দেশিকা বা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, থুতু ও নাকের ড্রপলেটের মাধ্যমে হাওয়ায় ভেসে অনতিদূরত্বের কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারন। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন, কোনো বদ্ধ ঘরে এক কোণে সিগারেট খেলে তার ধোঁয়া যেমন অপর প্রান্তে পৌঁছে যায়, সেভাবেই করোনা ছড়াতে পারে। এমনকি ওই বদ্ধ ঘরে কিছুক্ষণের জন্য ভাইরাসের উপস্থিতি থেকে যায়। ঠিক যেমন সিগারেটের গন্ধ থেকে যায়, তেমনই।
যেকোনো পৃষ্ঠতল, ধাতব বা অধাতব- সর্বত্র পড়ে থাকতে পারে ভাইরাস। তাই সেখান থেকেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই দরজা, আলোর সুইচ, চেয়ার, লিফট, ইত্যাদি জায়গায় হাত দিলে দ্রুত হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ওই জায়গাগুলোতে ব্লিচিং বা ফিনাইল ছড়ানোরও পরামর্শ রয়েছে নির্দেশিকায়।
করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে চলার একমাত্র উপায় মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বারবার বলে আসছেন এন-৯৫ বা সার্জিক্যাল মাস্কের ওপর কাপড়ের মাস্ক পরলে কিছুটা রোখা যেতে পারে ভাইরাসের সংক্রমণ। এ ক্ষেত্রে একবারই সার্জিক্যাল মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে জোড়া মাস্ক পরলে একটি সার্জিক্যাল মাস্ক শুকনো করে পাঁচবার ব্যবহার করা যেতে পারে, নির্দেশ চিকিৎসকদের।