ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাস যুদ্ধবিরতির পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মিসরের মধ্যস্থতায় খুব দ্রুতই ইসরায়েল তাদের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত জানাতে পারে বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে পারে বলে মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন। শুক্রবার থেকেই এটি কার্যকর হতে পারে।
এ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সভা শেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পিসাকিও এ দিন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আশাব্যঞ্জক খবর দেন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার তথ্য রয়েছে। এটি স্পষ্টতই উত্সাহজনক।’
এর আগে হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য মুসা আবু মারজুক দুই-এক দিনের মধ্যে অস্ত্রবিরতির কথা জানিয়েছিলেন। লেবাননের আল-মায়াদিন টিভিকে তিনি বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যেই অস্ত্রবিরতির বিষয়ে আমি আশাবাদী। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।’
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও দুই পক্ষের মধ্যে হামলা থেমে নেই। বৃহস্পতিবার ১১তম দিনে গড়িয়েছে এ সংঘর্ষ।
এ দিন অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে ভোরেই ১০০ দফার বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয় বলে দাবি তেল আবিবের।
পাল্টা জবাবে ইসরায়েলের দিকেও রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীরা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় চার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে গাজা থেকে।
এসব হামলা পাল্টা হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ২৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন নারী ও শিশু। আর ২ শিশুসহ নিহত হয়েছে ১২ ইসরায়েলি।
রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষ থামাতে আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে দুই পক্ষই। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন ও দেশ সংঘাত থামাতে চাপ দিয়ে আসছে।
চলমান সহিংসতা অবশ্যই থামাতে হবে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বিশ্ব সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে বুধবার আবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।