বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে ‘কালো ছত্রাক’ মহামারি

  •    
  • ২০ মে, ২০২১ ১৭:০৬

শুধু রাজস্থান ‌বা মহারাষ্ট্র নয়, গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশে ও পশ্চিমবঙ্গে দেখা মিলেছে এই ছত্রাকের। পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রে কোভিডই কারণ নয় বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

ভারত সরকার সব রাজ্যকে মিউক্রোমাইকোসিস বা ‘কালো ছত্রাক’ রোগকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করতে বলেছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি চিঠিতে এই রোগকে ‘এপিডেমিক ডিজিজ আইনের অধীনে উল্লেখযোগ্য রোগ’ হিসেবে ঘোষণার জন্য সব রাজ্যকে নির্দেশ দেয়।

এর অর্থ, কালো ছত্রাকের সমস্ত নিশ্চিত বা সন্দেহযুক্ত কেস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানাতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব লভ আগরওয়াল রাজ্যগুলোকে এক চিঠিতে বলেছেন, ‘সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসুবিধা এবং মেডিক্যাল কলেজগুলোকে মিউক্রোমাইকোসিসের স্ক্রিনিং, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিচালনা সম্পর্কিত গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।’

এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে কালো ছত্রাক রোগে দেড় হাজার মানুষ আক্রান্ত এবং ৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজস্থানে শতাধিক আক্রান্ত।

‘‌রাজস্থান এপিডেমিক অ্যাক্ট ২০২০'-এর আওতায় এই রোগকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে দেহে এই ছত্রাকজনিত রোগ মিউক্রোমাইকোসিস সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে।

শুধু রাজস্থান ‌বা মহারাষ্ট্র নয়, গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশে ও পশ্চিমবঙ্গে দেখা মিলেছে এই ছত্রাকের। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রে কোভিডই কারণ নয় বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে, কিংবা জটিল রোগে আক্রান্ত, নিয়মিত স্টেরয়েড নেন বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তারাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ত্বক বা নাক থেকে এই সমস্যা শুরু হলেও তার প্রভাব ফুসফুস ও মস্তিষ্কেও পড়ে।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের তরফে বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসকদের এই বিষয়ে রোগীদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও আক্রান্তদের নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত ও কড়া ডোজের স্টেরয়েড নিচ্ছেন, তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।

কীভাবে বুঝবেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ হয়েছে? নাক দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে কালো রস বের হওয়া বা রক্ত ঝরা, নাক বন্ধ, মাথার যন্ত্রণা ও চোখে ব্যথা, চোখ ফুলে যাওয়া, ডাবল ভিশন, লাল চোখ, চোখে দেখতে না পাওয়া, চোখ খুলতে না পারা, মুখে অসাড় ভাব এবং মুখ খুলতে বা চাবাতে কষ্ট হওয়া।

এ বিভাগের আরো খবর