বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েও কথা বলতে পারলেন না মমতা

  • অসিত পুরকায়স্থ, কলকাতা   
  • ২০ মে, ২০২১ ১৬:৫১

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সুপার ফ্লপ। করোনা নিয়ে এত ক্যাজুয়াল মিটিং! আমি অপমানিত হয়েছি। পুতুলের মতো বসে ছিলাম। আজ যা হয়েছে, তা একনায়কতন্ত্র।’

করোনা মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিন বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৈঠক শেষে নবান্নে সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েও তাদের কথা বলতে দেয়া হয়নি । সৌজন্য বিনিময় পর্যন্ত করা হয়নি।’

কাগজপত্র ও অন্যান্য নথিসহ রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে উপস্থিত থাকলেও কাউকে এক সেকেন্ডের বেশি বলতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ মমতার। তিনি জানান, পছন্দের জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলে আর ভাষণ দিয়ে চলে গেছেন মোদি ।

মমতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সুপার ফ্লপ। করোনা নিয়ে এত ক্যাজুয়াল মিটিং! আমি অপমানিত হয়েছি। পুতুলের মতো বসে ছিলাম। আজ যা হয়েছে, তা একনায়কতন্ত্র।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে একেক রকম কথা বলা হচ্ছে। এর কি কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? ভ্যাকসিন নেই বলে টিকা নেয়ার ব্যবধান বাড়ানো হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা মানলে টিকা দিতে ১০ বছর লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলেঢালা মনোভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন করোনা সংক্রমণ কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর এত ভয় কিসের? কোথায় কেন্দ্রীয় দল?’

মমতা বলেন, ‘রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুই জানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী। আমরা ভেবেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীকে বলব আমাদের ভ্যাকসিন দিন, যাতে সবাইকে টিকা দেয়া যায়।'

তিনি বলেন, ‘মোদি বলছেন করোনা কমে গেছে। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে একযোগে এর প্রতিবাদ করতে হবে। নদীতে মৃতদেহ ভেসে আসছে!’

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যকে অপমান করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিপদের সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’

মমতা বলেন, ‘আমরা ১৮৪টি সরকারি, ৪৪টি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি। কেন্দ্রের এত অবহেলা কিসের? কথা শুনতে না চাইলে বৈঠক ডাকলেন কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তিন কোটি টিকা চেয়েছিলাম দেয়নি। এ মাসে ২৪ লাখ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। ১৩ লাখও পাইনি। অক্সিজেন, ওষুধ পাচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রী মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গেলেন!’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, ‘নেতারা জেলে তাই রেগে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’

মুখ্যমন্ত্রীদের অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’

এ বিভাগের আরো খবর