স্পেনের মেজরকা দ্বীপ থেকে আয়তনে বড় বিশালাকৃতির এক বরফের খণ্ড অ্যান্টার্কটিকার বরফের কিনারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ-৭৬ নামের ওই খণ্ডকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ভাসমান হিমশৈল বলছেন বিজ্ঞানীরা।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) স্থানীয় সময় বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
লাইভ সায়েন্স ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আঙুলাকৃতির বরফের খণ্ডটি দৈর্ঘ্যে ১০৫ মাইল ও চওড়ায় ১৫ মাইল। অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিমাঞ্চলের রন আইস শেলফ থেকে এ-৭৬ হিমশৈল বিছিন্ন হওয়ার বিষয়টি প্রথমে জানতে পারে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কপারনিকাস স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
হিমশৈলটি এখন মুক্তভাবে ওয়েডেল সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে। অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিমাঞ্চলের ওই সাগরে এর আগে অনুসন্ধানকারী আরনেস্ট শ্যাকেলটনের জাহাজ হারিয়ে গিয়েছিল।
ভূমধ্যসাগরে স্পেনের পর্যটন দ্বীপ মেজরকা ৩ হাজার ৬৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। আর যুক্তরাষ্ট্রের রড দ্বীপের আয়তন ২ হাজার ৬৭৮ বর্গকিলোমিটার। সে হিসাবে ৪ হাজার ৩২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ-৭৬ হিমশৈল মেজরকা ও রড দ্বীপের চেয়েও বড়।
ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডাটা সেন্টারের (এনএসআইডিসি) ভাষ্য, সাগরের পানিতে এরই মধ্যে ভাসমান হিমশৈলটি সাগরের উচ্চতায় প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে না। অবশ্য সাগরে হিমবাহ ও বরফের প্রবাহ ধীর করতে পারে এটি। অ্যান্টার্কটিকার আইস শেলফের একটি অংশ ভেঙে পড়ায় পরোক্ষভাবে সাগরের উচ্চতা বাড়তে পারে।
এনএসআইডিসির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, অন্যান্য গ্রহের তুলনায় দ্রুত উষ্ণ হওয়া অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে হিমশীতল পানির পরিমাণ বেশি। এতে বৈশ্বিক সাগরের উচ্চতা ২০০ ফুটের মতো বেড়েছে।