ভারতের পশ্চিম উপকূলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউতের আঘাতে বিভিন্ন রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ জনে। নিখোঁজ অর্ধশত মানুষ। এখন অনেকটা দুর্বল হয়ে হরিয়ানার দিকে এগোচ্ছে ঝড়টি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু গুজরাটেই কমপক্ষে ৪৫ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব সাগরের মুম্বাই ও গুজরাট উপকূলের মাঝামাঝি এলাকায় ডুবে যাওয়া একটি বার্জের ৩৭ নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুম্বাই উপকূল থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ২৬১ নাবিক নিয়ে ডুবে যাওয়া বার্জটির মালিক ভারতের ওয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশন। বার্জে থাকা কর্মীরা ঝড়ের সময় উপকূলে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে খননে ব্যস্ত ছিলেন।
চার দিনে ১৮৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এখনও ৩৮ জনের সন্ধানে চলছে অভিযান।
তাউতের তাণ্ডবে মুম্বাই উপকূলে আটকে পড়েছিল তিনটি বার্জ। তিনটি নৌযানে কমপক্ষে সাত শতাধিক মানুষ ছিল।
দেশটির নৌবাহিনীর তিন যুদ্ধজাহাজ দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও ২৫ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ে উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হয়। উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিলও একাধিক উড়োজাহাজ।
এদিকে গুজরাটের জরুরি সেবা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঝড়টি আঘাত হানার পর থেকে আমেরলিতে ১৫ জন, ভাবনগরে আটজন, গির সোমনাথে আটজন, আহমেদাবাদে পাঁচজনসহ রাজ্যের ১২ জেলার প্রায় সবগুলোতেই প্রাণ গেছে মানুষের।
বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ঝড়ের সময় দেয়াল ধসে, গাছ উপড়ে, বাড়ি ও ছাদ ধসে আর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।
এর আগে রোববার থেকে ঝড়ের প্রভাবে কর্ণাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় ঝড়টিতে মৃত্যু হয় আরও কমপক্ষে ২০ জনের।
পাঁচ রাজ্যে ব্যাপক তাণ্ডবের পর এখন তাউতের প্রভাবে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হচ্ছে দিল্লিতে। হরিয়ানায় সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।