বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুদ্ধবিরতি চেয়ে নেতানিয়াহুকে আবারও বাইডেনের ফোন

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ২২:০৮

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বুধবার বলা হয়েছে, গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি তাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে উপায় বের করার আহ্বান জানান বাইডেন।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চতুর্থবারের মত ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বুধবার বলা হয়েছে, গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি তাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে উপায় বের করার আহ্বান জানান বাইডেন।

বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাত শুরু হবার পর বুধবারের এই ফোনটি ছিল বাইডেনের পক্ষ থেকে চতুর্থবারের মত চেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ইসরায়েলের অন্যতম মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা বুধবারের মধ্যে সহিংসতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে এনে শান্তির পথ প্রশস্ত করা।

গাজায় সাম্প্রতিক সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতাভিত্তিক চুক্তির কথা বললেও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে উত্থাপিত যৌথ বিবৃতি ভেটো দিয়ে বাতিল করে দেয় ওয়াশিংটন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার, গাজায় বেসামরিক প্রতিটি মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে নেতানিয়াহুকে অনুরোধ করেন বাইডেন। এসময় গাজার শাসক হামাস ও সশস্ত্র অন্য সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই নেতা।

অস্ত্রবিরতির আহ্বান বাইডেনের

আট দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান জো বাইডেন।

অস্ত্রবিরতিতে মধ্যস্থতার লক্ষ্যে মিসরসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন বাইডেন।

যদিও এর আগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যৌথ বিবৃতি ভেটো দিয়ে আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালেও এখনও সহিংসতা থামার ইঙ্গিত নেই ফিলিস্তিনে। যতক্ষণ প্রয়োজন, পূর্ণ শক্তিতে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

ফিলিস্তিনে চলমান ধ্বংসযজ্ঞ ও বেসামরিক প্রাণহানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও মানবাধিকার সংগঠন আহ্বান জানিয়েছে।

অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স, মিসরসহ বিভিন্ন দেশ।

গাজায় ১০ মে থেকে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২১২ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬১ জন শিশু।

এসব হামলার জবাবে হামাসসহ গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ছোড়া রকেটে ইসরায়েলের ১২ নাগরিক নিহত হয়, যাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।

অবরোধে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ২০ লাখ বাসিন্দার গাজা উপত্যকা নতুন করে সহিংসতার ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনে অঞ্চলটিতে বোমা মেরে ৪০টি স্কুল ও চারটি হাসপাতাল ভবন আংশিক বা পুরোপুরি ধসিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। জ্বালানি সংকটে অঞ্চলটির মৌলিক সেবাও বন্ধ হওয়ার মুখে।

হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সব ধরনের হামলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি সেবাবিষয়ক প্রধান ড. মাইক রায়ান।

এ বিভাগের আরো খবর