ইসরায়েলের বিমান হামলায় গত সপ্তাহে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫০টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মিডেল ইস্টার্ন আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে কমপক্ষে ৪১ হাজার ৮৯৭ শিক্ষার্থী।
সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর (অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলবিষয়ক) জেসন লি বলেন, ‘এ অঞ্চলের কোনো শিশুই এখন আর সহিংসতার প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। সংঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে কোমলমতি শিশুদের ওপর।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজার প্রতি ১৫টি স্কুলের একটি ইসরায়েলের বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৫০ শিশু শিক্ষার্থী। ক্ষতিগ্রস্ত অথবা বিধ্বস্ত স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ এ সহিংসতায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’
এদিকে, গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি স্কুল। সাম্প্রতিক সহিংসতায় সেখানে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এর আগে বুধবার, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ জানিয়েছে, সংঘাতের ফলে গাজায় বাস্তুচ্যুত হওয়া ৪৭ হাজার বাসিন্দা গাজার স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলা এবং গুলিতে গত ৯ দিনে গাজা ও পশ্চিম তীরে ৬৩ শিশু, ১০০ নারীসহ নিহত হয়েছে কমপক্ষে ২১৮ ফিলিস্তিনি। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন অর্ধলাখের বেশি।
বিপরীতে গাজার শাসক দল হামাসের ছোড়া রকেটের আঘাতে নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ উপেক্ষা করেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার রাতে ২৫ মিনিটে গাজা উপত্যকায় ১২২টি বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বিমান। বুধবার সকালে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।