নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) নামের মানবিক সহায়তা সংস্থার অধীনে কাউন্সেলিংয়ে ছিল ট্রমায় (মানসিক বিপর্যয়) থাকা ফিলিস্তিনের গাজার ১১ শিশু। কাউন্সেলিং চলতে থাকলে হয়তো একসময় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেত তারা। কিন্তু ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে প্রাণ গেল তাদের।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে জানানো হয়, এনআরসি মঙ্গলবার শিশুদের নিহত হওয়ার খবর জানায়।
গত এক সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে নিহত হওয়া শিশুদের বয়স ছিল ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
এনআরসির মহাসচিব জ্যান ইগল্যান্ড বলেন, ‘ট্রমা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে যে ১১ শিশুকে আমরা সহায়তা করছিলাম তাদের ওপর বোমাবর্ষণের খবরে আমরা ভেঙে পড়েছি। তারা বাড়িতে ছিল এবং ভেবেছিল নিরাপদে আছে।
‘তারা এখন আর নেই। পরিবারের সঙ্গে নিহত হয়েছে। স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের সঙ্গে মিশে গেছে তারা।’
ইগল্যান্ড আরও বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতি এ উন্মত্ততা বন্ধের আহ্বান জানাই। শিশুদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। তাদের বাড়ি কোনোভাবেই লক্ষ্যবস্তু বানানো যাবে না।
‘স্কুলগুলোকে কোনোভাবে লক্ষ্য বানানো যাবে না। এসব শিশু ও তাদের পরিবারকে রেহাই দিন। তাদের ওপর বোমা হামলা এখনই বন্ধ করুন।’
এনআরসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের অবরোধে থাকা গাজা উপত্যকার ১১৮টি স্কুলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছিল সংস্থাটি। তাদের ‘বেটার লার্নিং প্রোগ্রাম’ নামের কর্মসূচির সুফলভোগী ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী।
১০ মে থেকে গাজায় অবিরাম গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। এসব হামলায় উপত্যকায় ২ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০টির বেশি শিশু রয়েছে।