দশম দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলা। নয় দিনের এই সামরিক অভিযানের ফলে উপত্যকার শাসক দল হামাস অনেক বছর পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক দিনে হামাস অপ্রত্যাশিত আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে মনে করছেন নেতানিয়াহু। তবে এখানেই থামতে নারাজ তিনি। মঙ্গলবার ফের ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত’ অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১০০ নারী, ৬৩ শিশুসহ গত নয় দিনে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গুলিতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ২১৮ ফিলিস্তিনি।
বিপরীতে হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। দুই প্রবাসী শ্রমিক নিহত হন মঙ্গলবার।
গাজা উপত্যকায় অধিকাংশ বেসামরিক প্রাণহানির তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে তেল আবিব। দাবি করেছে, গাজায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ জনই সশস্ত্র বিদ্রোহী।
ইসরায়েলের অভিযানে হামাসের যোদ্ধাদের প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত করেনি সংগঠনটি।
ইসরায়েল বলছে, ১০ মে অভিযান শুরুর আগে গাজায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদের অস্ত্রভান্ডারে প্রায় ১২ হাজার রকেট ও মর্টার মজুত ছিল। এ সংখ্যা মঙ্গলবার এসে ঠেকেছে ৮ হাজারে।
নয় দিনে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে হামাস ছুড়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ রকেট ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই গাজা উপত্যকার ভেতর বিস্ফোরণ হয়েছে, যাতে অনেকে হতাহতও হয়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে। এতে যোগ দিয়েছে আরব ইসরায়েলিরাও।
সংঘর্ষ হয়েছে জেরুজালেমের দামেস্ক গেটসহ অনেক জায়গায়; হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়ও।
পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনির। হেবরনে নিহত হয় আরও একজন।
এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে ইসরায়েলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনেক অফিস-আদালত ও জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান।