ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ শহর গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ জন শিশু ও শতাধিক নারী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আবারও টেলিফোনে দেশটির প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে হামাস ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পরও সংঘাতের দশম দিনে কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এ ছাড়া দখলকৃত পশ্চিম তীরেও চলছে সংঘর্ষ। মঙ্গলবারও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সেখানে আরও ৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এতে পশ্চিম তীরে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১৭ হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত ১২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে দুজন শিশু। হামলায় আহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জনে।
সংঘাতের জন্য হামাসকে অভিযুক্ত করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টস এক ভিডিও বার্তায় জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে সংঘাতপূর্ণ এমন পরিস্থিতির জন্য হামাসই দায়ী। এ খবর প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বেনি গান্টস আরও বলেন, ‘গাজায় হামাসের শক্তিকে পুরোপুরি দমিয়ে না দেয়া পর্যন্ত বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে।’
ইসরায়েলি বাহিনীর অত্যাধুনিক সব অস্ত্রের সামনে ইটপাটকেল ছুড়ছেন ফিলিস্তিনি তরুণ-তরুণীরা। ছবি: এএফপিহামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেফ বোরেল সংঘাত বন্ধে ইইউ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন। সেখানে হাঙ্গেরি ছাড়া অন্য সব দেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিতে একমত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান বাইডেনকে
ইসরায়েলের হামলা থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা ও তাদের মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতা রশিদা তালিব।
মিশিগানে গাড়ির ফোর্ড গাড়ির কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন তালিব। সেখানেই তিনি বাইডেনকে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের রক্ষা ও তাদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রেসিডেন্টের অবশ্যই কিছু করার আছে।
রশিদা তালিবের এমন আহ্বানে জনসমক্ষে কিছু বলেননি জো বাইডেন।
পশ্চিম তীরে এখনও বাস করেন রশিদা তালিবের পরিবার। তার দাদি এখন পশ্চিম তীরে খুব আতঙ্কে বেঁচে আছেন বলে জানান জো বাইডেনকে।
বাইডেন রশিদা তালিবকে বলেন, তিনি রশিদার দাদি ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করছেন যেন তারা সুস্থ থাকেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, এ বিষয়ে আপনার জন্য যা যা করা সম্ভব সব করব।’