করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা পরিকাঠামোর ওপর প্রবল চাপ বেড়েছে। তাই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে সেফ হোম বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
চিঠিতে স্কুলগুলোকে ফাঁকা করে জীবাণুমুক্ত করতে বলা হয়েছে । তারপর প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। করোনার কারণে স্কুলগুলি এখন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নির্দেশিকার হিসেবে আগেই জারি করেছিল রাজ্য সরকার।
এই ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় আবার কবে স্কুল খুলবে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না । এই অবস্থায় রাজ্য সরকার চিকিৎসা পরিষেবার ওপর প্রবল চাপ সামলাতে বন্ধ স্কুলগুলিকে সেফ হোম বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বেলাগাম । রাজ্যের দৈনিক আক্রান্ত কুড়ি হাজারের কাছাকাছি থাকছে । সংক্রমণ সামান্য কমলেও প্রতিদিন বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।
এই অবস্থায় করোনা সংক্রমিতদের নিরাপদ জায়গায় না রাখলে, আরো বেশি সংক্রমনের আশংকা রয়েছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করতে পারে । তাই ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রুখতে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল গুলিকে সেফ হোম করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছে ১৯ হাজার ১০১ জন । সোমবার পর্যন্ত সক্রিয় কোভিড রোগী সংখ্যা এক লাখ ৩১ হাজার ৫৬০ জন। সুস্থতার হার ৪৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। রোববার এই হার ছিল ৮৭ দশমিক ২০ শতাংশ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ হাজার ৪৩১ ।
রাজ্যের জেলা হিসেবে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা ও কলকাতা। পাশাপাশি নদিয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ১৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।