ক্রমাগত বিমান হামলায় গাজাকে প্রায় বিদ্যুৎহীন করে ফেলছে ইসরায়েল।
গাজা ইলেক্ট্রিসিটি ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি সতর্ক করে বলেছে, বেশিরভাগ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় গাজা অন্ধ কার হয়ে যেতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, গাজায় বিদ্যুৎ সঞ্চালেন মূল যে লাইন, সেটিও খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ফিলিস্তিন ওয়াফা সংবাদ সংস্থা বলছে, গাজায় ১০টি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এসেছে ইসরায়েল থেকে। যার মধ্যে আটটি এরই মধ্যে বিমান হামলায় ভেঙে পড়েছে। অন্য দুটিও ঝুঁকিতে।
অন্যদিকে পশ্চিম তীরে শনিবার নতুন সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে।
গাজায় নিহতদের প্রতিবাদের শনিবার সকালে পশ্চিম তীরে জড়ো হয় ফিলিস্তিনিরা। সেখানে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করলে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন নিহত হয়।
এরপরই দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে।
অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে মিশর
ইসরায়েলি হামলায় আহতের মিশরের হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে মিশর।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলেছে আল-জাজিরা।
অ্যাম্বুলেন্সগুলো গাজার রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করবে। ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় পাঁচ দিনের জন্য ওই ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়। সোমবার থেকে ক্রসিং খুলে দেয়া হবে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স এরই মধ্যে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। মিশরের তিনটি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী-শিশুসহ ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ছয় শতাধিক।