গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ জনে। এর মধ্যে ৩৬ জনই শিশু।
গত সোমবার থেকে বিমান হামলার পর ইসরায়েল শুক্রবার থেকে স্থলেও হামলা চালাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিন সীমান্তে সেনা ও ট্যাংক সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতের পর শনিবার সকালেও গাজায় বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। হামলায় সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত ৯২০ জন আহত হয়।
অন্যদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১১ জন নিহত হয়। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেছে।
ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গাজায় ফিলিস্তিনের এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে দুই নারী ও ছয় শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ধংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার খান ইউনিস এলাকার এক বাড়িতেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান। সেখানে হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত এক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলেও ইসরায়েলের স্থল সেনারাও গুলি ছুড়েছে।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপ গাজায়। ছবি: এএফপিইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
দুই পক্ষকে এই যুদ্ধাবস্থা থেকে বিরত রাখতে ও সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তারা বদ্ধপরিকর। এজন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলের আশদদ শহরে শনিবার সকালেও কয়েকটি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। হামাসের রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে নয়জন নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলে শুরু হয়েছে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে দাঙ্গা। এটি ধীরে ধীরে বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।