বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাথায় বোমা, কাঁধে লাশ নিয়ে ঈদ

  •    
  • ১৩ মে, ২০২১ ১১:২৬

মৃত্যু ও আহতের বেদনা নিয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হয় গাজাবাসীর। ঈদের দিনটিতে তারা দেখছে বিমান থেকে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু বোমা, যা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না নারী-শিশুরাও। বিরামহীন হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে আট নারী ও ১৭ শিশু। তাদের লাশ কাঁধে নিয়ে দাফন ও আহাজারিতেই দিন পার করতে হবে স্বজনদের।

ইসরায়েলের বিমান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সঙ্গে গাজার বাসিন্দাদের পরিচয় নতুন নয়। আল-আকসা মসজিদে পুলিশের হানা কিংবা অন্য কোনো কারণে নিয়মিত বিরতিতে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ইসরায়েলের, যার বলি হন গাজার বেসামরিক লোকজনও। এমনকি ঈদের মতো উৎসবের দিনেও হামলা থেকে মুক্তি মেলে না তাদের।

ইসরায়েল-হামাসের সর্বশেষ সংঘর্ষেও ঈদ মাটি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম খোলা কারাগার হিসেবে পরিচিত গাজার বাসিন্দাদের।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ গেছে ৬৯ জনের। আহত হয়েছে ৩৯০ জনের বেশি মানুষ।

এই মৃত্যু ও আহতের বেদনা নিয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হয় গাজাবাসীর। ঈদের দিনটিতে তারা দেখছে বিমান থেকে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু বোমা, যা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না নারী-শিশুরাও।

বিরামহীন হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে আট নারী ও ১৭ শিশু। তাদের লাশ কাঁধে নিয়ে দাফন ও আহাজারিতেই দিন পার করতে হবে স্বজনদের।

আল জাজিরার সবশেষ খবর অনুযায়ী, গতকাল দিনভর বোমা হামলার পর বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকেও গাজার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

ঘটনাস্থলে থাকা আল জাজিরার প্রতিবেদক সাফওয়াত আল-কাহলুত বলেন, ‘গাজার বেশির ভাগ মানুষ জাগ্রত।’

তার এ বক্তব্যের মানে হলো বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা বর্ষণ হয়েছে ইসরায়েলি গোলা।

সাফওয়াত বলেন, ‘থেকে থেকে আপনি বড় বিস্ফোরণ শুনবেন যাতে কাঁপতে থাকবে ভবনগুলো।’

উপত্যকার শাসক দল হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন তাদের গাজা সিটি কমান্ডার বাসেম ঈসা। তার সঙ্গে নিহত হন সশস্ত্র সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আরও কিছু সদস্য।

গাজায় ইসরাইয়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবন। ছবি: এএফপি

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান বোমাবর্ষণ করেছে হামাসের উপস্থিতি থাকা এলাকাগুলোতে। একই সঙ্গে উপত্যকার নিরাপত্তা ও পুলিশ দপ্তরগুলোতেও হামলা চালানো হয়েছে।

গাজা শহরের তেল আল-হাওয়া এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় নিজ বাড়িতে নিহত হন অন্তঃসত্ত্বা রিমা তালবানি ও তার শিশুসন্তান।

শেখ জায়েদ এলাকায় একই ধরনের আরেকটি হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধ দম্পতির।

ইসরায়েলের সবশেষ হামলায় ধসে গেছে গাজার একটি টাওয়ার। এ নিয়ে ধ্বংস হলো তিনটি বড় দালান।

এসব হামলার জবাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে একের পর এক রকেট ছুড়েছে হামাস। তাদের রকেটে প্রাণ গেছে ইসরায়েলের কমপক্ষে ছয় নাগরিকের, যাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন স্থানে গাজা থেকে প্রায় দেড় হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজার পূর্বাঞ্চলের কাছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকরা দেশজুড়ে ইহুদিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

ইসরায়েলের মোট জনগোষ্ঠীর ২০.৯ শতাংশ আরব। তাদের ৮৪ শতাংশ মুসলমান, ৮ শতাংশ খ্রিষ্টান ও আট শতাংশ দ্রুজ।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরও নিজেদের জন্মভিটা ছেড়ে যায়নি এসব আরব।

এ বিভাগের আরো খবর