বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এভারেস্টকে ভাগ করছে চীন

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১৩:১২

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর অংশ হিসেবে এভারেস্টের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের ঢালের চূড়ায় পা রাখা থেকে পর্বতারোহীদের বিরত রাখতে কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে চীনের প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে ‘বিভেদ রেখা’ টানতে যাচ্ছে চীন।

মহামারির কারণে গত বছর থেকেই বিদেশি পর্বতারোহীদের এভারেস্ট আরোহণে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। তবে নেপাল থেকে এ বছর অনেক পর্বতারোহী এভারেস্ট শৃঙ্গের পথে থাকায় চূড়ায় দুই দেশের সীমান্ত আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয় চীনের প্রশাসন।

চীন-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত এভারেস্ট। পর্বতটির উত্তর ও দক্ষিণ দিকের ঢাল চীনা ভূখণ্ডের অংশ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর লক্ষ্যে এভারেস্টের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের ঢালের চূড়ায় পা রাখা থেকে পর্বতারোহীদের বিরত রাখতে কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।

তিব্বত কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া রোববার জানায় এসব তথ্য।

এভারেস্টের নেপাল সীমান্তের বেজ ক্যাম্পে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ৩০ জনের বেশি পর্বতারোহীকে সরিয়ে নেয়ার পর আসে এ পদক্ষেপ।

তিব্বত মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জানিয়েছেন, চূড়া আরোহণের আগে পর্বতারোহীদের গাইডরা একটি বিভেদ রেখা টেনে দেবেন যা অতিক্রম করা যাবে না।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কী দিয়ে বা কীভাবে এ বিভেদরেখা চিহ্নিত করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

এ বছর এভারেস্ট আরোহণে ২১ জন চীনা পর্বতারোহীকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। রোগের সংক্রমণ এড়াতে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তারা এপ্রিলের শুরু থেকেই তিব্বতে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

চীনের ভূখণ্ডে থাকা বেজ ক্যাম্পেও ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে পর্বতারোহী বাদে সাধারণ কোনো পর্যটক এ বছর এভারেস্টের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পর্বতারোহীকে এভারেস্ট আরোহণ ও সাধারণ পর্যটকদের বেজ ক্যাম্পে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে নেপাল। গত বছর মহামারির কারণে দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে অর্থনীতি বাঁচাতে এ উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার।

মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় কাবু ভারতের পর সম্প্রতি ছোঁয়াচে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে প্রতিবেশী দেশ নেপালে। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটননির্ভর অর্থনীতির দেশটিতে পর্বতারোহণের মৌসুম নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

নেপালে এভারেস্ট আরোহণের অনুমতি পেতে মাথাপিছু ১১ হাজার ডলার দিতে হয়। এভারেস্ট জয়ের অভিযানে সব মিলিয়ে একেকজনের খরচ পড়ে ৪০ হাজার ডলারের বেশি।

চীনের করোনা পরিস্থিতি

২০১৯ সালের শেষে চীনে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রাণহানি সাড়ে চার হাজারের বেশি। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনে মহামারি পরিস্থিতি বর্তমানে প্রায় নিয়ন্ত্রণে।

বিগত প্রায় দেড় বছরে বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি হয়েছে ৩৩ লাখের বেশি মানুষের। ভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ১৬ কোটির কাছাকাছি।

প্রাণহানি ও সংক্রমণে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে প্রায় ছয় লাখ মানুষ। ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৫ লাখ মানুষের দেহে।

লক্ষাধিক প্রাণহানি হয়েছে ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, ইতালি, রাশিয়া, ফ্রান্সে।

অথচ মহামারির শুরু যে চীনে, সেখানে সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত এক লাখেরও কম মানুষ; প্রাণহানি চার হাজার ৬৩৬। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে মাত্র ১২ জনের দেহে।

সীমান্ত বন্ধ রাখার পাশাপাশি দফায় দফায় কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে বেইজিং।

এ বিভাগের আরো খবর