কাশ্মীরসহ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে সৌদি আরব। দেশটিতে সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে বলে আল জাজিরা ও ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সৌদি আরবে তিন দিনের সফরে রয়েছেন ইমরান খান। শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরসহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয় সমাধান এবং এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে জোর দিয়েছে সৌদি আরব।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের সীমান্ত রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) গোলাগুলি বন্ধে ঐকমত্যে পৌঁছায় ভারত ও পাকিস্তান। ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ। এ ছাড়া আফগানিস্তানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
গত বছর ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে কাশ্মীর বিষয়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সমর্থন দেবে বলে আশা করেছিল ইসলামাবাদ। তবে পাকিস্তানের অনুরোধ আমলে না নিয়ে দেশটিকে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ ফেরত দিতে চাপ দেয় সৌদি আরব। চীনের থেকে ঋণ নিয়ে ওই অর্থ সৌদিকে ফেরত দেয় পাকিস্তান।
সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যকার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। দেশ দুটি বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার বিষয়েও সম্মত হয়।
বৈঠকে সৌদি যুবরাজ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সৌদি-পাকিস্তান সুপ্রিম কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল (এসপিএসসিসি) প্রতিষ্ঠায় চুক্তি স্বাক্ষর করে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে জেতার পর এ নিয়ে সাতবার সৌদি সফরে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি যুবরাজ উভয়ই দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে আলোচনা করেন। দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা প্রসারের গুরুত্বও ওই সময় তুলে ধরা হয়।’