প্রাচীর ঘেরা জেরুজালেমের প্রাচীন শহরের বাইরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের নতুন করে সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে আল জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় পার্শ্ববর্তী আল-আকসা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ পড়ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাচীন শহরে ঢোকার পথে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে ফিলিস্তিনের তরুণেরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে তারা। বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টান গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে ইসরায়েলের বাহিনী।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, আহতদের মধ্যে কিশোরসহ এক বছরের শিশুও রয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাচীন শহরটির দামেস্ক গেটের কাছে ২৭ বছর বয়সী মাহমুদ আল-মারবুয়া রয়টার্সকে বলেন, ‘তারা (ইসরায়েল) চায় না আমরা নামাজ পড়ি। প্রতিদিনই এখানে সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের।’
জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক তৎপরতাকে ঘিরে পবিত্র রমজান মাসজুড়ে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে ইসরায়েল দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় আল-আকসা মসজিদ এলাকা। ওই সময় ২০৫ ফিলিস্তিনি ও ১৮ ইসরায়েল পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়।
এদিকে উচ্ছেদ ঠেকাতে শনিবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল সীমান্তে জড়ো হয় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে জ্বলন্ত টায়ার ও পটকা ছুড়ে মারে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে খোলা জায়গায় কমপক্ষে একটি রকেট নিক্ষেপ করে গাজার সশস্ত্র বাহিনী।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা মুসা আবু মারজুক টুইটবার্তায় বলেন, ‘আল-আকসার জনগণকে আমরা অভিবাদন জানাচ্ছি। তারা জায়নবাদী শক্তির ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ফিলিস্তিনের সব মানুষকে তাদের ভাইদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
সবশেষ সংঘর্ষের বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার রাতে আল-আকসা মসজিদে ভয়াবহ সংঘর্ষের পর আরও সহিংসতার আশঙ্কায় জেরুজালেম, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।