ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
শুক্রবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে ভাষণ দিয়ে তিনি। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার অতিমারির সংকটকালে দেশের জনগণের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
আর এই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘এমন একটা রাজনৈতিক নেতৃত্ব সরকার পরিচালনা করছে; যারা দেশের নাগরিকদের সম্পর্কে অনুভূতিহীন। আর রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই অনুভূতিহীনতাই দেশকে পঙ্গু করে ফেলছে। মোদি সরকারের উদাসীনতার ভারে দেশ ডুবে যাচ্ছে।’
ভারতে মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী ২ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে সোনিয়া আরও বলেন, ‘কোভিড সংকট মোকাবিলায় সক্ষম এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব প্রয়োজন। তবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই রাজনৈতিক পার্থক্যকে দূরে সরিয়ে রেখে এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেই লড়তে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মোদি সরকারকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে জরুরিভিত্তিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে হবে। চলতি অতিমারিকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর বৈঠক করারও দাবি জানান সোনিয়া।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের বিষয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ফলাফল কংগ্রেসের জন্য ভীষণভাবেই হতাশাব্যঞ্জক। আমাদের সম্মিলিতভাবে এই বিপর্যয় থেকে যথাযথ শিক্ষা নিতে হবে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি শিগগিরই বৈঠক করবে এবং ফলাফল পর্যালোচনা করবে।’
সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হওয়ার পরে দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এটিই সোনিয়া গান্ধীর প্রথম বৈঠক।
সদ্যসমাপ্ত এল ভোটে কেরালা ও আসামে বিরোধী আসনেই বসতে হবে কংগ্রেসকে। পুদুচেরিতে ক্ষমতাচ্যুত তারা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা শূন্য। শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে শাসক জোটের সদস্য হিসেবে সফল কংগ্রেস।