করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা করাই তার প্রথম কাজ হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এর অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘রাজ্যের উদ্ভূত করোনা মোকাবিলাই হবে আমার প্রথম কাজ।’
সেই অনুযায়ী তিনি রাজভবন থেকে বেরিয়ে নবান্নে শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা জারির কথা সাংবাদিকদের জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে।
সরকারি পরিবহন ও মেট্রোরেল পরিষেবা ৫০ শতাংশ চালু থাকবে। সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বেলা ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকান ও বাজার। হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু থাকবে।
বন্ধ থাকবে জিম, পারলার, শপিং মল, থিয়েটার হল। গয়নার দোকান খোলা থাকবে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ব্যাংক পরিষেবা চালু থাকবে। বিমানে যাওয়া-আসা করতে গেলেই কোভিড নেগেটিভ প্রতিবেদন লাগবে।
৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস চালু থাকবে। বেসরকারি ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশ কর্মীকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে বলা হয়েছে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, কেন্দ্র পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। তাই এই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি।
চিঠিতে ভ্যাকসিনের জোগান বাড়ানো, হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য শয্যাসংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ১০ হাজার ডোজ রেমডিসিভির প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘কোভিড ইজ মাই ফার্স্ট প্রায়োরিটি। সো ফার্স্ট মিটিং আমি কোভিড নিয়ে করেছি। আমরা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের প্রাধান্য দেয়া হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন নিয়ে আমি নেক্সট মিটিং করব। আমি অলরেডি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কিছু চেঞ্জেস করেছি। আরও হবে। এসপি, ডিএম প্রত্যেককে আমি স্ট্রিক্টলি বলে দিয়েছি কোনো রকম ইনসিডেন্ট টলারেট করা হবে না। বিশেষ করে আমি দেখছি, যে জায়গাগুলোতে বিজেপি জিতেছে, সেখানে অত্যাচার হচ্ছে। আপনারা যদি দেখেন, দেখবেন, এইসব জায়গায় যখন অত্যাচার হয়েছে, তখন কমিশনের হাতে প্রশাসন ছিল। আমার হাতে ছিল না। তিন মাস ধরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।’