টিকা উৎপাদন, গবেষণা ও উন্নয়নে যুক্তরাজ্যে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিনিয়োগের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাজ্যে সিরামের একটি বিপণন কার্যালয় খোলা। সেই সঙ্গে সেখানে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে টিকা উৎপাদনকাজে এ অর্থ ব্যয় হবে।
সংখ্যার হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম। এখন প্রতিষ্ঠানটি কম খরচে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এক ডোজের ন্যাজাল টিকার পরীক্ষা চালাচ্ছে তারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের করা ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তির অংশ সিরামের বিনিয়োগ পরিকল্পনা।
দুই রাষ্ট্রের চুক্তির মাধ্যমে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মঙ্গলবারের ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথা জানাল সিরাম।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পর যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যসহ বেশ কিছু খাতে ভারতের সম্পর্ক জোরদার হয়।
ভারতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হলে মে মাসেই দেশটি সফর করার কথা ছিল বরিস জনসনের। সফরসূচিও হয়েছিল চূড়ান্ত। কিন্তু ভারতে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সফর বাতিল হয়।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা কোভিশিল্ড বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছে ভারত। দেশের অভ্যন্তরে টিকার চাহিদা বেড়ে গেলে গত মাসে টিকা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।
সিরাম প্রতি মাসে এখন ৬ থেকে ৭ কোটি ডোজ টিকা তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য জুলাইয়ের মধ্যে মাসিক টিকা উৎপাদন সক্ষমতা ১০ কোটি ডোজে পৌঁছানো।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারতে অক্সিজেন সংকট দেখা দিলে যুক্তরাজ্য এক হাজার অক্সিজেন ভেন্টিলেটর দিয়েছে।
দেশটি বলছে, তারা ভারতকে এরই মধ্যে ৪৯৫ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ২০০ ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন তৈরির জন্য তিনটি বড় প্রোডাকশন ইউনিট পাঠিয়েছে।
পুনে ও দক্ষিণ-পূর্ব মুম্বাইকেন্দ্রিক সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালার বয়স মাত্র ৪০ বছর।