ভারতের কর্ণাটকের একটি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন-স্বল্পতায় ২৪ জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজ্যের চামারাজানগরে স্থানীয় সময় রোববার রাতের এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাত ১২টা থেকে ২টার মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতির সময় এসব মৃত্যু হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালটিতে কমপক্ষে ১৪৪ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মৃত ওই ২৪ জনের মধ্যে থাকা এক শিশুর বাবা লোকেশ বলেন, ‘আমার ছেলে ৭৫ ভাগ সেরে উঠেছিল। অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলে তাকে বাঁচানো যেত।’
রাজন্ন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, মধ্যরাতে সাহায্যের জন্য কল করে তার ভাই।
তিনি বলেন, ‘সে রাত প্রায় ১২টার দিকে আমাকে কল করে জানায়, অক্সিজেন নেই। দয়া করে দেখো, কী করতে পারো।
‘যখন আমরা দ্রুত এখানে (হাসপাতাল) এলাম, তারা (কর্তৃপক্ষ) আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। আমরা দ্বিতীয়বার যখন কল করলাম, তখন কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এর মানে সে চলে গেছে। সে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে।’
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস এদিয়োরাপ্পা ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (আইএএস) কর্মকর্তা শিবযোগী কালাসাদকে ঘটনা তদন্তের ভার দিয়েছেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজা বোমাই পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রবীণ সুদকে ঘটনা তদন্ত করে বিশদ প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
ভারতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অক্সিজেনের জন্য জরুরি সহায়তা চেয়ে রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকুতি জানিয়েছেন দিল্লির কয়েকজন চিকিৎসক।
বিবিসির সোমবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার দিল্লির একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে এক চিকিৎসকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে শয্যা না পাওয়া রোগীরা বাইরে দাঁড়িয়ে বহনযোগ্য সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন নেয়ার চেষ্টা করছেন।