বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নন্দীগ্রামে কারচুপির অভিযোগ, আদালতে যাচ্ছেন মমতা

  •    
  • ৩ মে, ২০২১ ০৯:৪১

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বড় জয়ের জন্য নন্দীগ্রামকে হারানো দরকার ছিল। আমরা রাজ্য জিতেছি। যা হয়েছে, ভালোর জন্যই হয়েছে। তবে আমি আদালতে যাব। কারণ, ভোট গণনায় কিছু কারচুপি হয়েছে বলে শুনেছি।’

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নিজ আসন নন্দীগ্রামে জিততে পারেননি মমতা।

তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক নেতা ও মমতার একসময়ের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারির কাছে হেরে যান তিনি।

নন্দীগ্রামের ভোটের ফল ঘোষণার পর মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামের জনগণের রায় মেনে নিয়েছি। এটা কোনো বড় বিষয় নয়। চিন্তার কিছু নেই।’

অবশ্য ভোটের ফল মেনে নিলেও নন্দীগ্রাম আসনে কথিত কারচুপির জন্য আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তৃতীয়বারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাওয়া মমতা।

বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন রোববার দিনব্যাপী নন্দীগ্রাম আসন নিয়ে একধরনের উত্তেজনা কাজ করে জনমনে। একবার বলা হচ্ছিল, আসনটিতে মমতা জয় পেয়েছেন। পরক্ষণেই বলা হয়, মমতা নয়, জিতেছেন তার প্রতিপক্ষ শুভেন্দু। একপর্যায়ে আসনটিতে ভোট গণনা স্থগিতও করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন জানায়, শুভেন্দু অধিকারীই নন্দীগ্রামে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

তখন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলা হয়, ‘নন্দীগ্রামে ভোট গণনা এখনও শেষ হয়নি। অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলবেন না।’

নন্দীগ্রামে ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে তৃণমূল অনুরোধ জানালেও পরে রাতের দিকে তা নাকচ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

নন্দীগ্রামে ভোট গণনার শুরুর দিকে সকালে শুভেন্দুর থেকে পিছিয়ে ছিলেন মমতা। তবে দুপুরের দিকে ১ হাজার ২০০ ভোটে এগিয়ে যান তিনি। পরে শুভেন্দুর দিকে ভোটের পাল্লা ভারী হলে পরাজয় মেনে নেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান।

তিনি বলেন, ‘বড় জয়ের জন্য নন্দীগ্রামকে হারানো দরকার ছিল। আমরা রাজ্য জিতেছি। যা হয়েছে, ভালোর জন্যই হয়েছে। তবে আমি আদালতে যাব। কারণ, ভোট গণনায় কিছু কারচুপি হয়েছে বলে শুনেছি।’

২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পেছনে নন্দীগ্রামের বড় ভূমিকা ছিল। ওই অঞ্চলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার স্থানীয়দের জমি দখল করে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বামফ্রন্ট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে ওঠে যার নেতৃত্বে ছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শুভেন্দু।

আন্দোলনের মুখে অর্থনৈতিক জোনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বামফ্রন্ট সরকার। ‘মা, মাটি, মানুষ’ এ স্লোগান নিয়ে ২০১১ সালে বিধানসভার ভোটের মাঠে নেমে নন্দীগ্রামে জয় পায় তৃণমূল।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে সরে গিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান শুভেন্দু। নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

শুভেন্দুর ওই অবস্থানকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে দেখেন মমতা। কলকাতায় নিজের ভবানীপুর আসন ছেড়ে দিয়ে নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দুর বিপক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা আসে পশ্চিমবঙ্গের ৬৬ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে।

জয়ের খবর পেয়ে রোববার এক টুইটবার্তায় ভালোবাসা, আস্থা, আশীর্বাদ ও সমর্থনের জন্য নন্দীগ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানান শুভেন্দু।

এ বিভাগের আরো খবর