কয়েক দফায় ভোট গ্রহণের পর ভারতের পাঁচ রাজ্যের ফল ঘোষণা হচ্ছে। চলছে ভোট গণনা। পশ্চিমবঙ্গের ফলের দিকে তাকিয়ে গোটা ভারত। তবে আগ্রহ সবার নন্দীগ্রামে। হাইভোল্টেজ হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামে লড়ছেন তৃণমূল নেত্রী ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ্যাধায় এবং বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।
পোস্টাল ব্যালটের ভোট গণনা শেষে অবশ্য মমতাকে টক্কর দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিন রাউন্ডের ভোট গণনায় শুভেন্দু অধিকারী মমতার চেয়ে ৮ হাজার ২০৬ ভোটে এগিয়ে আছেন। সেখানে মোট ১৭ রাউন্ডের ভোট গণনা হবে।
নন্দীগ্রামে ভোট নিয়ে লড়াই সেই শুরু থেকেই। প্রার্থিতা ঘোষণার আগেই তৃণমূল নেত্রী জানান, তিনি লড়বেন নন্দীগ্রামে। সেটাই করেছেন মমতা।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জিতেছিলে। এবার দল পাল্টে বিজেপিতে যোগ দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তিনি পঞ্চাশ হাজার ভোটে হারাবেন। মমতা অবশ্য জয় নিয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। তবে পর্যবেক্ষকরা মত দিচ্ছেন, নন্দীগ্রামে যে-ই জিতুক ব্যবধান বেশি হবে না।
ভোট গণনার দিন রোববার কালীঘাটের বাড়িতেই আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে বসেই ভোট গণনায় নজর রাখছেন তিনি।
২০১১ সালের ২৩ মে প্রথমবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবারও নেত্রী মমতা ভোট গণনার দিন বেলা ১১টার আগে ঘর থেকে বের হননি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের গণনার দিনও ছিলেন কালীঘাটের বাড়িতেই।
এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। কোভিডের কারণে যাতায়াত আগেই সীমিত করেছেন তিনি। রোববারও বের হননি বাড়ি থেকে।
কালীঘাটের বাড়ি এবং তৃণমূল ভবনে দুটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবার। কালীঘাটের বাড়িতে যাতায়াতে আনা হয়েছে কড়াকড়ি। সেই কন্ট্রোল রুম থেকেই ফলের ওপর নজর রাখছেন মমতা।
প্রার্থী ও দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যেন সহজ হয়, সে জন্যই এমন ব্যবস্থা নিয়েছে তার দল।
পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯২টিতে। প্রার্থীর মৃত্যুতে দুটিতে স্থগিত হয়েছে ভোট। অন্যদিকে প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনডিটিভির হিসাবে পোস্টাল ব্যালটে ২৬১ আসনের মধ্যে ১৩৯টিতে এগিয়ে তৃণমূল, ১১৭টিতে এগিয়ে বিজেপি।