ভারতের কেরালা বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আবার ক্ষমতায় আসছে ক্ষমতাসীন বামপন্থি মোর্চা লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ)। অন্যদিকে হাতে গোনা কয়েকটি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
এনডিটিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সবশেষ ফল থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সবশেষ ফল অনুযায়ী, কেরালা বিধানসভার ১৪০ আসনের মধ্যে ৮৭টিতে জয়ী হতে যাচ্ছে বামপন্থি জোট এলডিএফ। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএফ পেতে যাচ্ছে ৪৮টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে পড়তে পারে মাত্র চারটি আসন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কেরালা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পদুচেরিতে ভোট হয়। রোববার ফল প্রকাশ শুরু হয়।
কেরালায় চার দশক ধরে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর প্রধান দুই বিরোধী দলের মধ্যে ক্ষমতার পালাবদল হয়। তবে এবারের নির্বাচনে হচ্ছে তার উল্টোটা।
গত ৬ এপ্রিল রাজ্যে ভোট শুরুর আগে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী) তথা সিপিআই-এম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। অন্যদিকে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা থেকে দূরে থাকা বিজেপি তাদের অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা করছে।
ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি বিজয়ন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা, পর্যটনমন্ত্রী কাদাকামপালি সুরেন্দ্রন, বিদ্যুৎমন্ত্রী এমএম মনি ও উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কেকে জলিল।
কংগ্রেস জোটের উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে আছেন রমেশ চেন্নিতলা, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি, জ্যেষ্ঠ নেতা কে মুরলিধরন, পিটি থমাস ও ত্রিভুবনচুর রাধাকৃষ্ণন, এমকে মুনির, ভিএস শিবকুমার।
এ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কিছু নেতার জন্য। তাদের মধ্যে রয়েছেন মিজোরামের সাবেক গভর্নর কুম্মাম রাজাশেখরন, ই শ্রীধরন, যারা সম্প্রতি দলটিতে যোগ দিয়েছেন।