বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশ্চিমবঙ্গে ভোট গণনাতেও ‘করোনা’

  •    
  • ১ মে, ২০২১ ২১:০৫

ভোট গণনার প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার থেকেই গণনাকেন্দ্রগুলোতে শুরু হয়ে গেছে করোনা পরীক্ষা। সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও এজেন্টদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই গণনাকেন্দ্রে যেতে হবে তাদের। করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট না থাকলে দেখাতে হবে দুইবার করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়ার নথি। ভোট গণনা কেন্দ্রগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আট দফায় ৩৪ দিনের জমজমাট ভোট যুদ্ধ শেষ। রাত পোহালেই ভোট গণনা শুরু। জানা যাবে পশ্চিমবঙ্গের মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন, নাকি তাকে হটিয়ে প্রথমবারের মতো রাজ্যটিতে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাসীন বিজেপি।

ভোট গণনার আগ মুহূর্তেও সবচেয়ে বড় ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের করোনা পরিস্থিতি। ভোট গণনা কেন্দ্র করে যাতে দিল্লি বা মহারাষ্ট্র প্রদেশের মতো করোনা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য নেয়া হয়েছে নানা কড়াকড়ি ব্যবস্থা। বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনের জন্য।

করোনার ভয়ে এবার ভোট গণনার কেন্দ্রে টেবিল সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। অন্যবার কাউন্টিং হলে ১৪টি টেবিলে ভোট গণনা করা হলেও এবার হবে সাতটি টেবিলে। এর ফলে ফলাফল পেতে অনেকটা দেরি হতে পারে।

ভোট গণনার প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার থেকেই গণনাকেন্দ্রগুলোতে শুরু হয়ে গেছে করোনা পরীক্ষা। সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও এজেন্টদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই গণনাকেন্দ্রে যেতে হবে তাদের। করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট না থাকলে দেখাতে হবে দুইবার করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়ার নথি। ভোট গণনা কেন্দ্রগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে মোট আসন ২৯৪টি। সমশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে দুটি আসন করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট ১৬ মে। যে দল বা জোট ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১৪৮টি আসন পাবে সরকার গঠন করবে তারাই।

রাজ্যের ১০৮টি গণনাকেন্দ্রের ৭০৫টি হলে ২৯২টি বিধানসভা আসনের ভোটগণনা হবে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্র ঘিরে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন স্তরের অবস্থান।

প্রবেশপথে থাকবে রাজ্য পুলিশ, তারপর থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। আর কাউন্টিং হলে ঢোকার মুখে এবং স্ট্রং রুমে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৫৮টি কোম্পানি নিযুক্ত থাকবে। গণনাকেন্দ্রের সামনের এলাকায় থাকবে ১৪৪ ধারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদেরও করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের মধ্যে একজন অন্তর একজনের পিপিই পরা বাধ্যতামূলক। আবশ্যিক রাখা হয়েছে মাস্ক পরাও। রাখতে হবে ফেসশিল্ড। প্রত্যেকটি গণনাকেন্দ্রের সঙ্গে কলকাতা ও দিল্লির নির্বাচন কমিশনের যোগাযোগ থাকবে।

তবে একাধিক রিটার্নিং অফিসার ও পর্যবেক্ষক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। বেশ কয়েকজন প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি মারাও গিয়েছে চারজন।

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন এবার অন্য যেকোনো বারের চেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে। আট ধাপের প্রতিটি ধাপেই কম-বেশি সহিংসতা ছড়িয়েছে। বোমা, গুলির ঘটনা ঘটেছে। হতাহত হয়েছেন অনেকে। এসবের দায় প্রধান দুই দল বিজেপি-তৃণমূল একে-অপরের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছে।

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের অষ্টম ও শেষ দফার ভোট হয়। এদিনও বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

ভোট শেষ হতেই প্রকাশ করা হয় বুথফেরত জরিপগুলোর ফল। বেশির ভাগ জরিপেই তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি।

বুথফেরত জরিপগুলোতে বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে এবারও ক্ষমতায় থাকছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এপিবি-আনন্দ বুথফেরত জরিপ বলছে, ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখবে তৃণমূল কংগ্রেস। দলটি আসন পেতে পারে ১৫২ থেকে ১৫৪টি। বিজেপির ঘরে যেতে পারে ১০৯ থেকে ১২১টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১৪ থেকে ২৫টি আসন।

এই জরিপ ঠিক থাকলে এককভাবেই তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে পারবে তৃণমূল।

একই আভাস এনডিটিভির বুথফেরত জরিপেও। তাদের হিসাবে মমতার ঘাসফুল মার্কা ২৯৪টি আসনের মধ্যে পেতে পারে ১৫৬টি আসন। আর পদ্মফুল মার্কা বিজেপি পেতে পারে ১২১টি আসন। ১৭টি আসন যেতে পারে অন্যদের ঘরে।

মমতার অনায়াস জয়ের কথা বলছে টাইমস নাউয়ের জরিপও। এতে দেখা যাচ্ছে, মমতা পাচ্ছেন ১৫৮টি আসন, আর মোদির বিজেপি পেতে পারেন ১১৫টি আসন। অন্যদের ঘরে যেতে পারে ২১টি আসন।

‘অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া’ এর জরিপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেয়া হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি পেতে পারে ১৩৪ থেকে ১৬০টি আসন। তৃণমূল পেতে পারে ১৩০ থেকে ১৫৬টি আসন। অন্যান্য দলের ঘরে যেতে পারে তিনটি আসন।

এ বিভাগের আরো খবর