ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সরকার করোনায় মৃতদের সৎকারে মানুষের হয়রানি দূর করতে কলকাতা ও গ্রামীণ এলাকায় ৪৬৬ জন নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে। তা ছাড়া সৎকার সব খরচ বহন করছে সরকার।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নোডাল অফিসারদের নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তি। এতে আরও বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হলে সৎকারের সব খরচ রাজ্য সরকারের।
এদিকে কলকাতা বেলেঘাটা আইডির অক্সিজেন সংকট মেটাতে ১৩ হাজার লিটারের একটি অক্সিজেন ট্যাংক বসানো হয়েছে। ট্যাঙ্ক থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে।
অন্যদিকে শয্যার ঘাটতি মেটাতে তৎপর হয়েছে ভারতীয় রেল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রেলের কামরায় হাওড়া ডিভিশনের ১০৩টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রুপান্তর করা হয়েছে। এখানে মোট ১২ হাজার ৬৫০টি শয্যা রয়েছে। প্রতিটি কোচে দুজন চিকিৎসক এবং দুটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। রাজ্য সরকার আবেদন জানালে এগুলো তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ
উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে চিঠি লিখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেফ হোম খোলার দাবি জানিয়েছেন। এস এফ আই ছাত্রসংগঠনের তরফে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ক্যাম্পাসের ভিতরের এসি ক্যানটিন, গেস্টহাউস, ও হোস্টেলের মতো খোলামেলা জায়গাগুলোতে খোলা হোক সেফ হোম। প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তবে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে লেখা চিঠির প্রস্তাবের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।
এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫। মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ২৪৮। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৫। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৪ হাজার ৬৫৩ জন। রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ রোগী ১ লাখ ১০ হাজার ২৪১ জন।