ভারতের অসমে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বেশ কিছু স্থাপনা ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে অঞ্চলটিতে পরপর তিনটি কম্পন অনুভূত হয়।
অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু স্থানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে অসমের কিছু এলাকার সড়কে বড় ধরনের ফাটল দেখা যায়।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, ওই ভূমিকম্প প্রথমে মিনিটখানেক স্থায়ী হয়। তবে পরে কয়েক মিনিট ধরে চলে কম্পন।
অসমের তেজপুরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গেও ভূকম্পন ছিল জোরাল।
বাংলাদেশেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় সকাল ৮টা ২১ মিনিট নাগাদ। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, এটি ছিল মৃদু কম্পন, যা দেশের সীমানা থেকে ৩৯৭ কিলোমিটার দূরে।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার অব সেমিওলজি বলছে, অসমের তেজপুরের সনিতপুরে ছিল এর কেন্দ্র, যা তেজপুর থেকে ৪৩ কিলোমিটার পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৬ দশমিক ৪।
অসমে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে এটি রেকর্ড করা হয়। পরে আরও দুটি কম্পন হয় সেখানে।
এর একটি ৭টা ৫৮ মিনিট ও আরেকটি ছিল ৮টা ১ মিনিটে। এগুলো রিখটার স্কেলে ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৩ ও ৪ দশমিক ৪ মাত্রার।
ভূমিকম্পে সনিতপুরের একটি সড়কে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। এরই মধ্যে রাস্তার ফাটলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে।
এ ছাড়া কিছু বাড়িঘর ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ভিডিওতে কিছু বাড়িঘরের কাচ ভেঙে পড়তেও দেখা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
অসমে হলেও ভূকম্পন দেশটির অরুণাচল প্রদেশেও অনুভূত হওয়ার কথা অনেকেই টুইট করে জানান।
এক দিন আগেই অসমে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সেটা ছিল রিখটার স্কেলে ২ দশমিক ৭ মাত্রার।
সেই কম্পনের কেন্দ্র ছিল সিকিম-নেপাল সীমান্ত। উৎপত্তিস্থলে ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪।