করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় আক্রান্তের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ভারতের কয়েকটি রাজ্য। তবে দেশটির চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এর মধ্যেও আশার কথা শোনাচ্ছেন। তারা বলছেন, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যু হার অনেকটাই কম।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠছেন। মৃত্যুর হার ১ শতাংশের সামান্য বেশি।
ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট।
দেশটিতে প্রতি সেকেন্ডে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকারগুলো। এর ওপর অনেকে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাইরাসের নতুন ধরনগুলো অনেক বেশি সংক্রামক হয়ে উঠছে। তবে এই ধরনগুলো আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান ঘেঁটে সেটি বলা যাবে না। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও সুস্থতার হার পৌঁছেছে ৯৮.৮৮ শতাংশে।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, সামগ্রিক ভাবে এবার আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় এখন মৃত্যুর মোট সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, এপ্রিলের শেষ পর্বে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও তিনটি অতি সংক্রমিত অঞ্চলে (হটস্পট) কিছুটা হলেও ‘স্থিতাবস্থা’ দেখা দিয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগড় এবং দিল্লি। মনে করা হচ্ছে, এই তিন এলাকায় দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছনোর পরেই স্থিতাবস্থা তৈরি হয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার দেশটিতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৮১২ জন। সামগ্রিক ভাবে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ, ভারতে কোভিডে মৃত্যুর হার ১.১২ শতাংশ।