করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাগাম ছাড়া সংক্রমণে বেসামাল পরিস্থিতিতেও যেন হুঁশ ফিরছে না ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষের।
করোনা বিধি পালনে কড়া রাজ্য সরকার কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি ধরপাকড় শুরু করেছে। মাস্ক না পরলে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জরিমানা করা হচ্ছে। এরপরও আটকানো যাচ্ছে না মানুষকে।
অতিমাত্রার সংক্রমণে চিকিৎসা ব্যবস্থাও এক অর্থে ভেঙে পড়েছে। টিকা নেই। অক্সিজেন নেই। শয্যা নেই। দিকে দিকে হাহাকার পড়ে গেছে।
এর মধ্যে রোববার মুর্শিদাবাদের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ভার্চুয়াল সভা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
এর মধ্যে মন কি বাত বেতার অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, সব রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে জোট বেঁধে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।
মুর্শিদাবাদে অন্য আরেক ভার্চুয়াল সভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেই। অক্সিজেন নেই। উনি মন কি বাত করে চলেছেন। ওনার মনের কথা কে শুনতে চায়? শুধু বাংলা দখলের লক্ষ্যে দেশের এত বড় ক্ষতি করলেন মোদি।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ওষুধ খুবই কম পাঠাচ্ছে। মোদি ভাষণ দিয়ে পালিয়ে গেলেন। ভ্যাকসিন দিলেন না।’
রাজ্যের সর্বত্র চরম করোনা সংকট দেখা দিয়েছে। কলকাতা এনআরএসে কয়েক শ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন পাননি। অন্য দিন আসতে বলে কুপন দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে খবর লাখ কোভিশিল্ডের ডোজ রাজ্যে আসছে।
শয্যা খালি নেই মুকুন্দপুর আমরি, সল্টলেক আমরি, ফর্টিস, সিআরএম, রুবি জেনারেল হাসপাতাল, অ্যাপোলোতে। সংকট মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সরকারি পরিকাঠামোয় ২০ শতাংশ এবং বেসরকারি পরিকাঠামোয় ২৫ শতাংশ শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজ্য সরকারের হিসাবে রাজ্যে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৭৫। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৪ হাজার ২৮১। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫৯। রাজ্যে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৮৮৪ জনের।