ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি দেশটিতে করোনা পরিস্থিতির ভয়ংকর অবস্থা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে শুক্রবার এক জরুরি বৈঠক করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক হলেও সেখানে ডাক পাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে বৈঠক ডাকা হয়নি। ডাকলে যেতাম। বাংলা দখল করতে দেশকে করোনা বিপদে ফেলছে বিজেপি।
‘বাংলাকে ভাতে, পাতে মারতে চায়। দেশে ওষুধের হাহাকার, অন্য দেশে ওষুধ পাঠাচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্র বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।’
মমতা বলেন, বাংলার অক্সিজেন সরবরাহকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলার অক্সিজেন সেলকে উত্তর প্রদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
মমতার এমন অভিযোগকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করার চেষ্টা বিজেপি কখনও করেনি। তৃণমূল করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মমতা।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে রাজ্যে প্রতিদিন ৪৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন।
রাজ্যজুড়ে দিকে দিকে অক্সিজেনের জন্য হাহাকারের মাঝে ‘বাড়তি অক্সিজেন চাই’ মর্মে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে।
রাজ্যের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বাইরে না পাঠানোর আরজি জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে।
এদিকে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সে জেলার জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব করোনা নিয়ে জরুরি কিছু নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে শেষ দুই দফা ভোটের আগেই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে জোর দেয়ার কথা বলা হয়েছে। জোর দেয়া হয়েছে কোভিড সতর্কতায় ও বুথের নিরাপত্তায়।
শুক্রবারও পশ্চিমবঙ্গে অনেক স্থানে ভোট-পরবর্তী সহিংসতা হয়েছে। বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনের কাছে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের সভাকে ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে গোলাগুলিও হয়েছে।
করোনাভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে কেন সভা, প্রশ্ন তুলে অর্জুন সিংকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলে। একপর্যায়ে সেখানে চলে ধস্তাধস্তি, সেটা গড়ায় সংঘর্ষে।
অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, তৃণমূলের দষ্কৃতকারীরা তার নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে গেলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে তারা।
কমিশন কোথায় গুলি চলেছে, কখন গুলি চলেছে, কী কারণে গুলি চলেছে জানতে প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনার পর তৃণমূলের নেতা অতীন ঘোষ বলেছেন, এটা সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ।